গাইবান্ধা
বন্যার পানি নামলেও কমেনি দুর্ভোগ
গাইবান্ধার সব নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থতির উন্নতি হয়েছে। তিস্তা, ব্রাহ্মপুত্র, যমুনা, ঘাঘট ও করতোয়ার নদের পানি কমে বিপৎসীমার অনেক নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি কমলেও বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের শুকনা খাবারের পাশাপাশি গবাদি পশুর খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে।
তবে জেলার ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রাহ্মপুত্র ও যমুনার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গাইবান্ধা পাউবো সূত্র জানায়, বুধবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রাহ্মপুত্র ও যমুনার পানি ৯ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার এবং শহরে নিউ ব্রিজ স্টেশনে ৯ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে ঘাঘট নদের পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া তিস্তা ও করতোয়ার পানি বিপৎসীমার অনেক নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গাইবান্ধার সদর উপজেলার গিদারি ইউনিয়নের চর খামারজানির আব্দুল হালিম বলেন, বন্যার পানি কমা শুরু হলেও ঘরে এখনো হাঁটু পানি। খাওয়ার অসুবিধা হচ্ছে। বিশেষ করে বিশুদ্ধ পানি নিয়ে চিন্তায় রয়েছি। বেশ কিছুদিন ধরে নদীর পানি দিয়েই সব কিছু করতে হচ্ছে।
মো. ময়নুল প্রমানিক বলেন, কষ্ট করে হলেও খাবার সংগ্রহ করা যাচ্ছে। কিন্তু গবাদি পশুর খাদ্য নিয়ে বিপাকে রয়েছি।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, সব নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করছে। ব্রাহ্মপুত্রর নদের পানি বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাকি সব নদের পানি বিপৎসীমার অনেক নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক নাহিদ রসুল বলেন, চার উপজেলার প্রায় ৩৬ হাজার পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। ১৮১ আশ্রায়ন কেন্দ্রে বানভাসী মানুষ অবস্থান করছে। বানভাসীদের মাঝে শুকনা খাবার ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে।
এ এইচ শামীম/এএইচ/জিকেএস