অভিযান শেষ
বেনজীরের ১০ কোটির বাড়িতে মেলেনি কোনো উচ্চ বিলাসী আসবাবপত্র
পারিবারিক কাজে ব্যবহৃত আসবাবপত্র ছাড়া তেমন কিছুই মেলেনি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের ক্রোক ও সিলগালা করা ডুপ্লেক্স বাড়িতে।
বুধবার (১০ জুলাই) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গুতিয়াবো এলাকার আনন্দ হাউজিংয়ের ওই বাড়িতে জেলা প্রশাসন ও দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম তল্লাশি চালায়।
দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সোয়া ৫টা পর্যন্ত সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে কয়েকটি চায়ের কাপ, পেয়ালা, টিভি, ফ্রিজ, ডাইনিং টেবিলসহ তিনটি খাট পাওয়া গেছে। এসময় নির্দিষ্ট কোনো কর্মকর্তারা ছাড়া গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
অভিযান শেষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. শফিকুর আলম বলেন, ‘একটি পরিবার বসবাস করতে যা যা প্রয়োজন হয় এখানে তাই পাওয়া গেছে। সাধারণভাবে একটি পরিবার বসবাস করতে হাঁড়ি-পাতিল, এসি, ফ্রিজ, টেলিভিশনসহ অন্যান্য জিনিসের প্রয়োজন হয়, এখানে তাই পাওয়া গেছে। এর বেশি কিছু পাওয়া যায়নি। উচ্চ বিলাসী কোনো আসবাবপত্র পাওয়া যায়নি। যেসব আসবাবপত্র পাওয়া গেছে আমরা সেগুলোর জব্দ তালিকা করেছি। এই তালিকা আদালতে উপস্থাপন করা হবে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান মাহমুদ রাসেল ও দুদক নারায়ণগঞ্জ সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মঈনুল হাসান রওশনীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
এর আগে শনিবার (৬ জুলাই) জেলা প্রশাসন ও দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম বাড়িটি জব্দ করে।
তার আগে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ জুন তৃতীয় দফায় বেনজীর আহমেদের আরও বিপুল পরিমাণ সম্পদ জব্দ করেন আদালত। ওই তালিকায় এই বাড়িটিও ছিল। এরপর বাড়িটি দেখভালের জন্য জেলা প্রশাসককে রিসিভার নিয়োগ দেন আদালত। বাড়িটির মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা।
স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২২ সালের দিকে রূপগঞ্জে বাড়িটি নির্মাণ করা হয়। বেনজীর আহমেদ দেশে থাকাকালীন মাঝেমধ্যে এ বাড়িতে আসতেন। সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় বাড়িটিতে কেয়ারটেকারের পাশাপাশি দুটি কুকুরও রাখা ছিল।
মোবাশ্বির শ্রাবণ/এসআর/জেআইএম