মুন্সিগঞ্জে দুই গ্রুপের টেঁটাযুদ্ধ, আহত ১৫
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার ও মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের টেঁটা নিয়ে সংঘর্ষ ও ঘরবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় পক্ষের ৯ জন টেঁটাবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (৮ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ইউনিয়নের পূর্ব চান্দেরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২৫ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। বর্তমানে ঘটনস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে সংবাদ সংগ্রহকালে সালাউদ্দিন সালমান নামে এক সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সালমান স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পূর্ব চান্দেরচর গ্রামের কামিজুদ্দিন কামু (৬০) ও একই এলাকার কালাইচান মাতব্বর (৫৫) সমর্থকদের মধ্যে ফসলি জমির মাটি কাটার টাকার ভাগবাটোয়ারা ও আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে আজ সকাল ছয়টায় সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রুপ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান ও গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এর আগেও ২১ জুন উভয় পক্ষের সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে ৪ জন টেঁটাবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছিলেন।
বালুচর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আওলাদ হোসেন সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলেকচান সজীব সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হয়েছেন, বর্তমানে তিনি স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বেশ কয়েকজন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন বলে শুনেছি।
সিরাজদীখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, ফসলি জমির মাটি কাটার টাকা ভাগবাটোয়ারা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়েছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২৫ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়।
সাংবাদিকের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
আরাফাত রায়হান সাকিব/এফএ/এমএস