পিত্তথলির পাথর অপারেশনের সময় গৃহবধূর মৃত্যু, হাসপাতাল ভাঙচুর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ০৮:২৭ পিএম, ০৯ জুলাই ২০২৪

পিত্তথলির পাথর অপারেশনের সময় আকলিমা বেগম (৪২) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ, ভুল চিকিৎসার কারণে তিনি মারা গেছেন।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই হাসপাতাল ভাঙচুর করেছেন রোগীর স্বজনেরা। টাঙ্গাইলের মুক্তা হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের স্বজনরা জানান, শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের ধুলবাড়ী গ্রামের ভ্যানচালক আব্দুল লতিফের স্ত্রী পেটে ব্যথা নিয়ে টাঙ্গাইল পৌর শহরের মুক্তা হাসপাতালে ভর্তি হন।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার পিত্তথলিতে পাথর আছে নিশ্চিত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

পরে রোববার ডা. ফরিদ আহমেদের তত্ত্বাবধানে আকলিমা বেগমকে অপারেশনের জন্য অপারেশন থিয়েটারে পাঠানো হয়। অপারেশনের ৬ ঘণ্টা পরও রোগীর জ্ঞান ফিরে না আসায় সন্দেহ হয় স্বজনদের।

এসময় স্বজনরা জানতে চাইলে ডা. ফরিদ জানান, অপারেশন টেবিলে রোগী স্ট্রোক করেছেন। তাকে রেফার্ড করতে হবে। এরপর ওই দিনই রোগীকে ঢাকা এনাম মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়।

নিহত আকলিমার স্বামী আব্দুল লতিফ বলেন, এনাম মেডিকেলের চিকিৎসা ব্যয়ভার আমার পক্ষে বহন করা সম্ভব না। এরপরও তারা এক প্রকার জোর করে এখানে পাঠায়। এনামে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে আইসিইউতে ভর্তি করেন তারা।

পিত্তথলির পাথর অপারেশনের সময় গৃহবধূর মৃত্যু, হাসপাতাল ভাঙচুর

পরে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রোগীকে মৃত ঘোষণা করে এনাম মেডিকেলে কর্তৃপক্ষ।

স্বজনদের দাবি, রোগী মুক্তা হাসপাতালেই মারা গেছেন। বাকিটা তারা নাটক সাজিয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে ডা. ফরিদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতাল ভাঙচুর করেন রোগীর স্বজনরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা ঘটনাস্থলে আসেন এবং রোগীর স্বজনদের বিচার পাইয়ে দেওয়ার আশা প্রকাশ করলে পরিবেশ শান্ত হয়।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন জানান, বুধবার বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসা হবে।

আরিফ উর রহমান টগর/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।