ইসলামী ব্যাংক আউটলেট

জমার রসিদ না দিয়ে দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ, গ্রেফতার ক্যাশিয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া
প্রকাশিত: ০৫:৫৭ পিএম, ০৯ জুলাই ২০২৪
ঢাকার ধামরাইয়ের তালতলা থেকে গ্রেফতার করা হয় ক্যাশিয়ার সুজনকে

বগুড়ায় ইসলামী ব্যাংক পিএলসির এজেন্ট আউটলেটের গ্রাহকদের দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ক্যাশিয়ার সুজন রহমানকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। ঘটনার দেড় মাস পর সোমবার রাতে ঢাকার ধামরাইয়ের তালতলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে বগুড়া র‌্যাব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় র‌্যাব। গ্রেফতার সুজন ওই আউটলেটের প্রতিষ্ঠাতা নুরুল ইসলাম সোহাগের ভাতিজা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৯ সালে জুলাই মাসে আদমদীঘির চাঁপাপুর বাজারে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট আউটলেট চালু করেন নুরুল ইসলাম। তিনি ছয়জন কর্মচারী নিয়ে প্রায় পাঁচ বছর ধরে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। বর্তমানে আউটলেটটির গ্রাহক সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার। আউটলেটটিতে প্রবাসীদের পাঠানো টাকা আর স্থানীয় ব্যবসায়ীদের জমা রাখা টাকার পরিমাণ বেশি ছিল।

চলতি বছরের ২৩ মে হঠাৎ সুজন সপরিবারে নিরুদ্দেশ হন। এরপর ২৬ মে ব্যাংকের কয়েকজন গ্রাহক সঞ্চয়ী হিসাব থেকে টাকা তুলতে এসে দেখেন তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা নেই। এতে প্রতারণার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। পরে শতাধিক গ্রাহক টাকা ফেরত নিতে এসে দেখেন তাদের হিসাব নম্বরে জমাকৃত টাকা নেই। এরপর ২৮ মে সুজন ও তার বাবা—মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন নুরুল ইসলাম।

নুরুল গ্রাহকের কাছে দায়বদ্ধ থাকলেও টাকা ফেরত দিতে না পারায় ১১ জুন ইসলামি ব্যাংকের দুপচাঁচিয়া শাখার ব্যবস্থাপক কাজী মিজানুর রহমান নুরুল ইসলামসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর থেকে দুই মামলার সব আসামি প্রায় দেড় মাস ধরে পলাতক। ২৩ জুন গ্রাহকরা তাদের আমানতের টাকা ফেরত ও আসামি গ্রেফতারের দাবিতে আউটলেটের মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেন। ঘণ্টাখানেক পর চাঁপাপুর এজেন্ট আউটলেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম আমানতকারীদের বুঝিয়ে তালা খুলে ফের কার্যক্রম শুরু করেন।

বগুড়া র‌্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার মীর মনির হোসেন জানান, স্বীকারোক্তিতে সুজন জানিয়েছেন, হঠাৎ তার বড় চাচা নুরুল আর্থিক সংকটে পড়েন। এ কারণে তারা পরিকল্পনা করেন গ্রাহকের টাকা জমা নেওয়ার সময় রসিদ না দিয়ে আত্মসাৎ করবেন। সে অনুযায়ী টাকা গ্রাহকের একাউন্টে জমা না করে নিজেরা ভাগ করে নিতেন। অপরদিকে গ্রাহকের একাধিকবার ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে তাদের একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করতেন।

আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, পৃথক দুটি মামলার আসামিদের মধ্যে ক্যাশিয়ার সুজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

জেডএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।