অনিয়মের খবরে স্কুলে হাজির এমপি, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী
প্রকাশিত: ০৫:২৫ পিএম, ০৬ জুলাই ২০২৪
অনিয়মের খবর পেয়ে মোহনপুরের কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছুটে যান এমপি মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ

সংস্কার কাজে অনিয়মের খবর পেয়ে রাজশাহীর মোহনপুরের কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ছুটে যান স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ। শনিবার (৬ জুলাই) সকালে সেখানে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

এলজিইডি অফিসের তথ্যমতে, ওই বিদ্যালয় সংস্কারের জন্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ কাজ পান রাজশাহীর মেসার্স আলখাল্লা এন্টারপ্রাইজ। তারা এরমধ্যে কাজ বুঝিয়ে দিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মেসার্স আলখাল্লাকে দেওয়া টাইলস, রং, থাইগ্লাস ও স্টেজের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু তিনমাস না যেতে রং নষ্ট হয়ে গেছে। দেওয়ালে ধরেছে ময়লা। ময়লার ওপরও দেওয়া হয়েছে রং। এছাড়া মূল গেটে রং করার কথা থাকলেও সেটিও পুরোপুরি করা হয়নি। এত কিছুর পরও প্রধান শিক্ষক ঠিকাদারের সব কাজ বুঝিয়ে পেয়েছে বলে স্বাক্ষর করেন। এতে সহজে বিল তুলে নিয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, প্রতিষ্ঠান প্রধান বা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে যারা আছেন তারা যদি কাজগুলো ঠিকভাবে বুঝে না নেন তবে আমি তো মনে করি ঠিকাদারের সঙ্গে তাদের যোগসাজশ রয়েছে। অথবা না বুঝেই করেছেন। এটার দায় তাদের নিতে হবে। যারা কাজ করেছেন তাদের ডাকা হবে। এটি নিয়ে সমস্যার সমাধান হতে হবে।

তিনি বলেন, আমি জনপ্রতিনিধি। এগুলো দেখভালের দায়িত্ব আমার আছে। একটি প্রতিষ্ঠান দেখলেই তো বোঝা যায়। বিদ্যালয় ভবনগুলো চকচকে থাকবে শিক্ষার্থীদের মন ভালো হবে। এ অনিয়ম আমার দেখেছি। এগুলো ঠিক করতে বলেছি। আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। এটি মানুষের কষ্টে অর্জিত টাকা।

অনিয়মের খবরে স্কুলে হাজির এমপি, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

এ বিষয়ে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সাহিদুজ্জামান বলেন, কাজ তো আমি করিনি। সরকারের মাধ্যমে প্রজেক্টের কাজ। জাস্ট আমরা স্কুলে চাকরি করি। ইঞ্জিনিয়ার যেভাবে আমাকে দেখিয়ে দিয়েছেন আমি সেভাবে বুঝিয়ে নিয়েছি। আমি তো আর কাজের কিছু বুঝি না। তবে রঙের বিষয়ে অভিযোগ করেছি।

এ বিষয়ে জানতে মোহনপুর এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মোসা. নুর নাহারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে মোহনপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) জোবায়দা সুলতানা বলেন, এমপি একটি অভিযোগ নিয়ে স্কুলে গেছিলেন। আমরাও দেখেছি। এটি ইউএনও স্যার তদন্ত করে দেখবেন। তিনি এখন ছুটিতে আছেন। তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. ইমন বলেন, আমরা প্রতিষ্ঠানের নিয়মমাফিক কাজ করেছি। তারপরও যদি অভিযোগ থাকে ইঞ্জিনিয়ার রয়েছে। কোনো কাজের সমস্যা হলে ফের কাজ করে দেওয়া হবে।

সাখাওয়াত হোসেন/আরএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।