বন্যহাতির তাণ্ডব, বসতঘর ভেঙে ধান-চাল খেয়ে সাবাড়

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শেরপুর
প্রকাশিত: ০১:০৯ পিএম, ০৫ জুলাই ২০২৪

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় কৃষকের ছয়টি বসতঘর ভেঙে ধান-চাল খেয়ে সাবাড় করেছে বন্যহাতির দল। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাত ৯টার দিকে উপজেলার সীমান্তঘেঁষা নাকুগাঁও স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় ৩০-৩৫টি বন্যহাতির দল এ তাণ্ডব চালায়।

এদিকে হাতি তাড়াতে গিয়ে গ্রামপুলিশ নিরঞ্জন রবিদাস (৩৮) স্ট্রোক করে শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন কৃষক।

স্থানীয়রা বলছেন, খাদ্যের সন্ধানে প্রায়ই সীমান্তঘেঁষা বিভিন্ন লোকালয়ে নেমে আসে বন্যহাতির দল। বুধবার রাত ৯টার দিকে নাকুগাঁও স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় তাণ্ডব চালায়। এসময় হাতিগুলো কৃষক রঞ্জিত ঘোষ, সিন্ধু ঢালু, নিরঞ্জন রবিদাস ও সুমন রবিদাসের ছয়টি বসতঘর ভেঙে ফেলে। পরে ঘরে থাকা আসবাবপত্র গুঁড়িয়ে এবং ধান-চাল খেয়ে ও ছিটিয়ে নষ্ট করে। এছাড়া কৃষক রুপেন ঢালুর (৪৫) ২০ শতাংশ জমির আমন বীজতলা পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে।

বন্যহাতির দলটি বসতঘর ভেঙে কৃষক রঞ্জিত ঘোষের ঘরে থাকা ২০ মণ ধান ও ৫ মণ চাল, সিন্ধু ঢালুর ২০ মণ ধান ও চাল, গ্রামপুলিশ নিরঞ্জন রবিদাসের ১৫ মণ ধান ও সুমন রবিদাসের ১৫ মণ ধান-চাল খেয়ে ও মাটিতে ছড়িয়ে নষ্ট করে। এসময় ঘরের আসবাবপত্র ও ফ্রিজ ভেঙে ফেলে তারা। এছাড়া বাড়ির উঠানে থাকা কাঁঠাল ও আমগাছ ভেঙে ফেলে হাতির দল। এছাড়া কৃষক রঞ্জিত ঘোষের গোয়াল ঘর ভেঙে একটি গরুকে আহত করে দলটি।

বন্যহাতির তাণ্ডব, বসতঘর ভেঙে ধান-চাল খেয়ে সাবাড়

ভুক্তভোগী কৃষক রঞ্জিত বলেন, ‘আমার সারা বছরের খাওয়ুনের ধান-চাল আছিলো ঘরে। আত্তি (হাতি) তো ঘর ভাইঙ্গা ঘরের আসবাবপত্রসহ সব শেষ কইরা দিলো। অহন পরিবার লইয়া কী খামু।’

নয়াবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, পাহাড়ে হাতির খাদ্যের ব্যবস্থা করা গেলে সীমান্তের মানুষ একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারতো।

ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলক রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে হাতির দলটি নাকুগাঁও এলাকার পাহাড়ে অবস্থান করছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয়েছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে বনবিভাগের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে।

ইমরান হাসান রাব্বী/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।