এক বছর পর জানা গেলো তিনি ভুয়া চিকিৎসক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুষ্টিয়া
প্রকাশিত: ০৯:২৮ পিএম, ০৪ জুলাই ২০২৪
অভিযান চালাচ্ছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত

এক বছর ধরে চেম্বার খুলে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন আবুল বাসার সেতু (৩৬)। নাক, কান ও গলা রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেজে সেবা দিতেন তিনি। অথচ তার কোনো ডিগ্রি বা প্রশিক্ষণ নেই। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাইনবোর্ড লাগিয়ে ও প্যাড ব্যবহার করে প্রতারণা করছিলেন।

অপরদিকে মো. তারেক মাহমুদ তরু (৩৫) নামে আরেকজন দাঁতের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। এ বিষয়ে তারও কোনো ডিগ্রি বা প্রশিক্ষণ নেই।

এ অভিযোগে আবুল বাসার সেতুকে ৫০ হাজার টাকা এবং মো. তারেক মাহমুদ তরুকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া তাদের চেম্বার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার হলবাজার এলাকায় অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত। এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রিফাত হিমেল ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এক বছর পর জানা গেলো তিনি ভুয়া চিকিৎসক

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, নিজেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে আবুল বাসার সেতু মেডিসিন, নাক, কান ও গলা রোগের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। প্রায় এক বছর ধরে হলবাজার এলাকায় ‘ডক্টর ভেলি’ নামে চেম্বার খুলে এ কাজ করছিলেন।

অপরদিকে একই এলাকায় বৈধ কাগজপত্র ও প্রশিক্ষণ ছাড়াই দাঁতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাইনবোর্ড লাগিয়ে এবং প্যাড ব্যবহার করে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছিলেন তারেক মাহমুদ। প্রায় তিন বছর ধরে ‘জনসেবা ডেন্টাল কেয়ার’ নামক চেম্বার খুলে এ কাজ করছিলেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত জানান, বৈধ কাগজপত্র ও যথাযথ প্রশিক্ষণ ছাড়াই চিকিৎসা দেওয়ার অপরাধে ভুয়া চিকিৎসক আবুল বাসার সেতুকে ৫০ হাজার টাকা এবং মো. তারেক মাহমুদ তরুকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আল-মামুন সাগর/জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।