গাইবান্ধা
বন্যায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত, পানিবন্দি কয়েক হাজার মানুষ
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধায় সব নদ-নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। জেলার তিস্তা, যমুনা ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি বেড়েছে।
জেলার ফুলছড়ি পয়েন্টে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৬২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ায় সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর, গিদারি, ঘাগোয়া ও ফুলছড়ি উপজেলার এরান্ডাবাড়ি , ফুলছড়ি ও ফজলুপুর এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, হরিপুর ইউনিয়ন ও সাঘাটা উপজেলা ভরতখালী ও হলদিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
অন্যদিকে নদীতে পানি বাড়ায় নতুন করে সদরের মোল্লার চর ও ফুলছড়ির ফজলুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নিয়ন্ত্রণকক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে ৬৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে। একইভাবে ঘাঘট নদের পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৫৯ সেন্টিমিটার, তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলাসংলগ্ন কাউনিয়া পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার, গোবিন্দগঞ্জে চকরহিমাপুর পয়েন্টে করতোয়ার পানি ১০২ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ৯টা পর্যন্ত এ পানি বৃদ্ধি পায়।
পানি বাড়ার কারণে জেলার চলাঞ্চলের রাস্তাঘাটসহ বাড়িঘর ডুবে গেছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এসব এলাকার পানিবন্দি মানুষ গৃহপালিত প্রাণী নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ছেন।
ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী মন্ডল বলেন, বন্যায় ইউনিয়নের প্রায় অর্ধেক বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। সময় যত বাড়ছে ততই নতুন নতুন এলাকায় পানি ঢুকছে। অনেক বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। পানিবন্দি মানুষদের জন্য সরকার থেকে এখনো কোনো সহযোগিতা পাইনি। তবে পানিবন্দি মানুষ ও ক্ষতির তালিকা তৈরির জন্য ইউএনও বলেছেন।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে গাইবান্ধার সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। তবে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সব ধরনের ঝুঁকি মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এ এইচ শামীম/এএইচ/এএসএম