সুনামগঞ্জ
বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হলেও নতুন ভোগান্তিতে বানভাসি মানুষ
পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টিপাত না থাকায় সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। বিশেষ করে সুরমা জাদুকাটাসহ জেলার নদনদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সেই সঙ্গে জেলা শহরের সঙ্গে তাহিরপুর উপজেলার সড়কপথে সরাসরি যোগাযোগ সচল হয়েছে এবং দোয়ারাবাজার উপজেলার সঙ্গে সুরমা, লক্ষ্মীপুরসহ তিন ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ সচল হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে ভাটি অঞ্চলের মানুষদের মনে।
এদিকে, পানিবন্দি অবস্থা থেকে মুক্তি মিললেও বন্যায় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নতুন করে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা। ভাঙা সড়কের ওপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে নারী-পুরুষ ও শিশুদের।
ভোগান্তিতে পড়া মানুষরা বলেন, বন্যার পানিতে আমাদের নাজেহাল অবস্থা। তবে দ্বিতীয় দফার এই বন্যায় সড়কের বেশি ক্ষতি হওয়ায় আমরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।
ভোগান্তিতে পড়া আরমান মিয়া বলেন, দ্বিতীয় দফা বন্যায় সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানি কমলেও এখনো সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা আমাদের জন্য কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে।
ভোগান্তিতে পড়া সুরুজ মিয়া বলেন, চলতি বছরের প্রথম দফা বন্যায় ঘরবাড়ি, ফসলি জমি তলিয়ে গেলো, আর দ্বিতীয় দফা বন্যায় সড়ক ভাঙলো। আমাদের কষ্টের যেন কপালে লেখা হয়ে গেছে।
ভোগান্তিতে পড়া সেরন মিয়া বলেন, বন্যা হলে আমরা পানিবন্দি হয়ে পড়ি, ঘরবাড়ি ভেসে যায়। অথচ বছরের বছরের এভাবে আমাদের ক্ষতি হলে আমরা বাঁচবো কী করে?
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, সুরমা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে শহর থেকে শুরু করে নিম্নাঞ্চলের বসতঘর থেকে পানি নেমে গেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পানি আরও কমবে।
লিপসন আহমেদ/এমআরএম/এএসএম