ভৈরব উপজেলা পরিষদ

বৃষ্টি হলেই জমে পানি, ভোগান্তিতে সেবা প্রত্যাশীরা

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)
প্রকাশিত: ০১:৩৬ পিএম, ০২ জুলাই ২০২৪
ভৈরব উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে

বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন পরিষদে আসা সেবা প্রত্যাশীরা। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতেও পরিষদ প্রাঙ্গণে জমেছে পানি।

সোমবার দুপুরে ভৈরব উপজেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টির পানি জমে উপজেলার প্রবেশদ্বারসহ ঈদগাহ মাঠে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সেবা প্রত্যাশীরা বিড়ম্বনায় পড়ছেন। সেখানে কেউ কেউ রিকশাযোগে পরিষদের ভেতরে যাচ্ছেন। আবার কেউ পায়ের জুতা খুলে কাপড় ভিজিয়ে যাচ্ছেন।

ভৈরব উপজেলা পরিষদে আসা এক সেবা প্রত্যাশী আব্দুস সাত্তার বলেন, একটি কাজে এসে দেখলাম উপজেলার গেট থেকে শুরু করে পুরো প্রাঙ্গণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে নোংরা পানিতে ভিজে উপজেলার অফিসে গেছি।

ভৈরবের তরুণ সংগঠক শামীম রহমান জয় বলেন, ভৈরবে ছোটবড় অসংখ্য খালবিল ভরাটের কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই নানা জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে উপজেলা প্রাঙ্গণ, পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বঙ্গবন্ধু সরণী- এসব জায়গায় সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। এতে করে ভোগান্তি পোহাতে হয় শহরবাসীকে।

ভৈরবের এ সমস্যার স্থায়ী একটি সমাধানের দাবি জানান তিনি।

ভৈরব উপজেলা পরিষদ, বৃষ্টি হলেই জমে পানি, ভোগান্তিতে সেবা প্রত্যাশীরা

ভৈরব উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা সাকিলা বিনতে মতিন জানান, কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে শহরের বিভিন্ন জায়গাসহ উপজেলা প্রাঙ্গণেও পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। শহরের পানি নিষ্কাশনের জন্য খালবিল অবাধে ভরাটের কারণে বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার।

এ বিষয়ে ভৈরব পৌর মেয়র ইফতেখার হোসেন বেনু বলেন, ভৈরবে নতুন নতুন বসতি স্থাপনের ফলে অসংখ্য খালবিল ভরাট হয়ে গেছে। ফলে শহরের পানি নিষ্কাশনে নানা সমস্যা হচ্ছে। এ কারণেই সামান্য বৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

তবে শহরের জলাবদ্ধতা দূরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরিকল্পনা নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

রাজীবুল হাসান/জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।