ব্যাংকে টাকা জমা দিতে গিয়ে ৩ দিন ধরে নিখোঁজ কলেজছাত্র
‘আমি তোকে না পাঠালে আজ এমন হতো না। কই গেলিরে মনি? পায়ে ধরি ফিরে আয়। আপনাদের পায়ে ধরি, যেখান থেকে পারেন ছেলেকে আনে দেন।’
একমাত্র সন্তান নিখোঁজ হওয়ার শোকে এভাবেই আহাজারি করছিলেন মা রাশিদা বেগম। তিনি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের বাঁশআড়া গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে কুমারখালী জনতা ব্যাংক শাখায় নগদ পাঁচ লাখ টাকা জমা দিতে গিয়ে নিখোঁজ হয় রাশিদা-রাজ্জাক দম্পতির একমাত্র সন্তান নাজমুস সাকিব (১৭)। সে কুষ্টিয়া সেন্ট্রাল কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে না পেয়ে ঘটনার দিন রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তার বাবা।
সাকিবের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘটনার দিন দুপুরে কুমারখালী জনতা ব্যাংকে তার হিসাব নম্বরে নগদ পাঁচ লাখ টাকা জমা দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছিল সাকিব। কিন্তু সে ব্যাংকে টাকাও জমা দেয়নি, বাড়িতেও ফিরে আসেনি।
তার দাবি, টাকার জন্য অজ্ঞাতপরিচয় কেউ তার ছেলেকে গুম করতে পারেন। তার ছেলের সঙ্গে খারাপ কিছুও ঘটতে পারে। ছেলেকে জীবিত উদ্ধারের জন্য পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেন আব্দুর রাজ্জাক।
এ বিষয়ে জনতা ব্যাংক কুমারখালী শাখার ব্যবস্থাপক বদিউজ্জামান বাবলু বলেন, আব্দুর রাজ্জাক একজন ভালো ব্যবসায়ী। নিয়মিত ব্যাংকে লেনদেন করেন তিনি। তবে সেদিন রাজ্জাকের হিসাব নম্বরে কোনো লেনদেন হয়নি, তার ছেলেও ব্যাংকে আসেনি।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নিখোঁজ ছাত্রের বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তাকে উদ্ধারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।
আল-মামুন সাগর/এসআর/জেআইএম