ঈদের বন্ধে বিদ্যালয়ে ডিজে পার্টি, মদের আসর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চাঁদপুর
প্রকাশিত: ১০:১৪ পিএম, ২৭ জুন ২০২৪
বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের বারান্দা ও মাঠে পড়ে ছিল মদের খালি বোতল

চাঁদপুরে ঈদুল আজহার বন্ধকালীন একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে ডিজে পার্টি ও মদের আসর বসানোর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি প্রথমে গোপন থাকলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের গ্রুপে ডিজে পার্টি ও মদের বোতলের ছবি ছড়িয়ে পড়ে।

চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের বহরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এমনই ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাতে বিষয়টি স্বীকারও করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমান হোসেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১৮ জুন দিনগত রাতে স্থানীয় বাসিন্দা সোলেমান মাঝির ছেলেসহ তার সহপাঠীরা বিদ্যালয়ে ডিজে পার্টি করেন। একই সময় বসে মদের আসর। একাডেমিক ভবনের বারান্দা ও মাঠে মদের খালি বোতল পড়ে ছিল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিদ্যালয়ে ওইদিন নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব ছিল মোক্তার কাজী নামে চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারীর। কিন্তু তিনি ওইদিন রাতে দায়িত্ব পালন না করে অন্য কাউকে দিয়ে যান। রাত ১২টার পরে বিদ্যালয়ে আসেন।

jagonews24

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমান হোসেন প্রথমে বিষয়টি জানেন না বললেও পরে ঘটনার বিবরণ জেনে সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‌‘আমি ঘটনার রাতে স্থানীয় হোসাইন বেপারী নামের ব্যক্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারি। ওইসময় নৈশপ্রহরী মোক্তার কাজী ছিলেন না। তিনি ব্যক্তিগত কোনো কাজে বাইরে ছিলেন। রাত ১২টার পরে তিনি বিদ্যালয়ে আসেন। ঘটনাটি জেনে আমি তাৎক্ষণিকভাবে বহিরাগত যুবকদের চলে যাওয়ার জন্য বলি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় নিউজ করার দরকার নেই। বিষয়টি আমি পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে জানিয়েছি।’

এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও অভিযুক্তদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

চাঁদপুর জেলা শিক্ষা অফিসার প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, ‘বিষয়টি জেনে আমি খুবই মর্মাহত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের কর্মকাণ্ড কাম্য নয়।’

তিনি বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো দেখবে। কোনো প্রয়োজন হলে আমাদের জানাবে। তারপরও আমি বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলবো।

শরীফুল ইসলাম/এসআর

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।