সমকামী বিয়ের অভিযোগে দুই বিবাহিত যুবক কারাগারে
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সমকামী বিয়ের অভিযোগে এনায়েত উল্লাহ (২৫) ও সবুজ হোসেন (২৪) নামের দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
শনিবার (২২জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নে হরিহরনগর থেকে তাদের আটক করা হয়। রোববার (২৩ জুন) দুপুরের তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আটক এনায়েত উল্লাহ একই গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে ও সবুজ হোসেন পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার স্বরুপপুর ইউনিয়নের কুশাডাঙ্গা গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, এনায়েত উল্লাহ একজন বিবাহিত পুরুষ। তার তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এরমধ্যে তিনি কুশাডাঙ্গা গ্রামের সবুজ নামের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে তারা গত দেড় মাস আগে বিয়ে করেন। তবে দুজন পুরুষ হওয়ায় কীভাবে বিয়ে হয়েছে বা কে বিয়ে দিয়েছেন তার সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
তবে বিষয়টি জানাজানি হলে এনায়েতুল্লাহর স্ত্রী রাগ করে তার বাবার বাড়ি চলে যান। স্ত্রী চলে যাওয়ার পর এনায়েতুল্লাহ সবুজকে সঙ্গে করে নিয়ে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। তারা রাতে একসঙ্গে অবস্থান করছিলেন।
বিষয়টি জানতে পেরে এনায়েতুল্লাহর স্ত্রী ও তার ভাই এবং গ্রামের গণ্যমান্য কয়েকজনকে নিয়ে এনায়েতের বাড়ি হরিয়াননগরে উপস্থিত হয়। পরে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় দুজনকে আটক করে পুলিশের হস্তান্তর করা হয়।
এ ব্যাপারে এনায়েতুল্লাহর স্ত্রী জাগো নিউজকে বলেন, আমার স্বামী প্রায়ই রাতে বাইরে থাকত। তুমি কোথায় থাকো, জিজ্ঞেস করলে তিনি উত্তর দিতেন, আমি যেখানেই থাকি তাতে তোর কী? আমাকে মারধর করতেন।
তিনি আরও বলেন, এই সবুজ নিহা পরিচয়ে আমার স্বামীর সঙ্গে কথা বলতেন। বিষয়টি আমার শ্বশুরকে জানালে তিনিও ছেলের পক্ষ নেন। আমার স্বামী আর একটা বিয়ে করেছিল সেটি পরিবারের সবাই জানত। তবে সেটি এই সবুজের সঙ্গে তা আমি জানতাম না। পরে জানতে পারি।
সবুজের গ্রামের বাসিন্দারা জানান, সবুজ পুরুষ হলেও তিনি মেয়েদের মতো করে চলাফেরা করেন। বিভিন্ন বিয়ে বাড়িতে নাচ-গান করেন। এছাড়া কয়েক বছর আগে তার একটি বিয়েও হয়। কিন্তু কয়েক মাস পর সেই স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যান।
এ ব্যাপারে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান জানান, বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ দুই যুবককে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়। পরে দুই যুবককে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
হুসাইন মালিক/এনআইবি/জেআইএম