শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষককে গণপিটুনি
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় এক শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা আব্দুস সালামকে গণপিটুনি দিয়েছেন স্থানীয়রা।
শনিবার (২২ জুন) রাত ৯টার দিকে আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে আজিজুল উলম কওমী মাদরাসা ও এতিমখানা লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত মাওলানা আব্দুস সালাম ওই মাসরাসার শিক্ষক এবং একই উপজেলার বাড়াদি ইউনিয়নের অনুপনগর গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা থানায় নিয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আব্দুল গণি। এরপরই পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার দেখায়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানায়, বেশ কিছুদিন আগে ভয়ভীতি দেখিয়ে গভীর রাতে তাকে মাদরাসার শৌচাগারের আশপাশে নিয়ে খারাপ কাজ করেন হুজুর। প্রায় ৭-৮ দিন তাকে জোরপূর্বক নিয়ে গিয়ে এমন করেছেন৷ সবশেষ ঈদুল আজহা উপলক্ষে মাদরাসা ছুটির আগে করেছে। পরে বাবা-মাকে জানায় সে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ঈদের ছুটির পর ছেলে মাদরাসায় যেতে চাচ্ছিল না। পরে চাপ দিলে ছেলে ভয়ে সব কিছু খুলে বলে। এরপরই বিষয়টি জানাজানি হয়।
এদিকে ঘটনাটি জানার পর শনিবার রাতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা মাদরাসায় আসেন। বিষয়টি টের পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মাওলানা আব্দুস সালাম পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে গণপিটুনি দেন৷ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নেয়।
বেহালা ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেচুর রহমান শিলন বলেন, ঘটনাটি আসলেই নেক্কারজনক। এমন ঘটনার কঠিন বিচার হওয়া দরকার।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আব্দুল গণি বলেন, ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেফতার আছে।
হুসাইন মালিক/এফএ/এমএস