ঈদের দিনে চাকরিচ্যুত সেই ইমাম ফিরলেন ইমামতিতে
গাজীপুরের শ্রীপুরে ঈদুল আযহার দিন মসজিদ কমিটির সভাপতির কোরবানির পশু (গরু) জবাইয়ে দেরি করায় মারধরের শিকার হয়ে চাকরিচ্যুত হওয়া সেই ইমামকে আবারও পুনর্বহাল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) থেকে তাকে ইমামতির দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়। শ্রীপুর উপজেলা ওলামা পরিষদ ও ইমাম সমিতি দায়িত্ব নিয়ে তাকে চাকরিতে ফিরিয়ে আনেন।
আরও পড়ুন:
চাকরিতে পুনর্বহাল ইমাম মাওলানা আবুবক্কর সিদ্দিকের (২৫) বাড়ি শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের জালাল উদ্দীনের ছেলে। পাঁচ ভাই চার বোনের সংসার তাদের। তিনি শ্রীপুরের গোসিংগায় কর্নপুর মাদরাসার কিতাব বিভাগের শিক্ষার্থী। পাশাপাশি তিনি ভাংনাহাটি মধ্যপাড়া বায়তুন নূর জামে মসজিদে ইমামতির দায়িত্ব পালন করতেন।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওর্য়াডের ভাংনাহাটি মধ্যপাড়া বায়তুন নূর জামে মসজিদে ইমাম মারধরে শিকার হয়ে চাকরি হারান। এরপর এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ পেলে উপজেলা ইমাম সমিতি ও ওলামা পরিষদের নেতৃবৃন্দ এগিয়ে আসেন। চাকরি হারানোর পর ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন ইমাম। ঘটনার চারদিন পর আবারও একই মসজিদে দায়িত্ব পালন করতে তিনি কাজে যোগ দিয়েছেন।
এদিকে ঈদের দিন ইমামের সঙ্গে উক্ত ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন মসজিদ কমিটিন সভাপতি কফিল উদ্দীন। চাকরি পুনর্বহালের পর ইমামের বেতন আরও বর্ধিত করা হয়েছে বলেও জাগো নিউজকে তিনি নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে ইমাম আবুবক্কর সিদ্দিক বলেন, বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে আমি আবারও একই প্রতিষ্ঠানে (মসজিদে) চাকরিতে যোগ দিয়েছি। আগের সব ভুল বুঝাবুঝির অবসান হয়েছে। স্থানীয় ওলামা পরিষদ ও ইমাম সমিতি বিষয়টি সমাধানে এগিয়ে আসেন।
মসজিদ কমিটির সভাপতি কফিল উদ্দীন তার ভুল স্বীকার করে বলেন, আমরা দুপক্ষই বিষয়টি মীমাংসা করেছি। স্থানীয় ওলামা ও ইমামগণ এ বিষয়ে এগিয়ে আসেন। আমরা আবারও আগের ইমামকে চাকরিতে পুনর্বহাল করেছি।
শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান মন্ডল জানান, বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে নিয়ে ইমাম সমিতি ও ওলামা পরিষদের নেতৃবৃন্দরা বসে বিষয়টি মীমাংসা করেছেন। চাকরিচ্যুত ইমাম আবার পূর্বের মসজিদের চাকরিতে পুনর্বহাল হয়েছেন।
শ্রীপুর উপজেলা ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুফতি মাহমুদুল হাসান বলেন, ঈদের দিন একজন ইমাম চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন। পরে এ নিয়ে আমরা বসে বিষয়টি সমাধান করেছি। মসজিদ কমিটির সভাপতি বিষয়টি বুঝতে পেরে তার ভুল স্বীকার করেছেন। মীমাংসার সময় স্থানীয় ইমাম সমিতি ও ওলামা পরিষদের নেতার উপস্থিত ছিলেন।
মো. আমিনুল ইসলাম/এনআইবি/এমএস