কুয়াকাটায় বৃষ্টিতে মেতেছেন পর্যটকরা

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
প্রকাশিত: ০৬:৪৩ পিএম, ১৯ জুন ২০২৪

পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকায় সকাল থেকে টানা মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে দুর্ভোগ নেমে এসেছে জনজীবনে। তবে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের একাংশ সমুদ্রে মেতেছেন উল্লাসে।

বুধবার (১৯ জুন) বেশ কয়েকটি হোটেলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈদুল আজহার প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে পর্যটকদের তেমন সাড়া না থাকলেও তৃতীয় দিনে কিছু বুকিং মিলছে। তবে বৃষ্টির কারণে অনেক পর্যটক আসতে দেরি করছেন।

কুয়াকাটায় বৃষ্টিতে মেতেছেন পর্যটকরা

সৈকত এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টিতে মেতেছেন অনেক পর্যটক। কেউ বৃষ্টির সঙ্গে উত্তাল ঢেউ উপভোগ করছেন। বাকিরা সময় কাটাচ্ছেন হোটেলে খোশ গল্প করে।

এদিকে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জেলার কলাপাড়া উপজেলায় ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে খেপুপাড়া আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিস বলছে, বাতাসের চাপ অনেকটা বেড়েছে। উপকূলীয় এলাকা দিয়ে দমকা অথবা ঝোড়ো হওয়া বয়ে যেতে পারে।

কুয়াকাটায় বৃষ্টিতে মেতেছেন পর্যটকরা

শুভ হোসাইন নামের এক পর্যটক জাগো নিউজকে বলেন, ‘পরিবার নিয়ে যশোর থেকে কুয়াকাটায় এসেছি। তবে সকাল থেকে বৃষ্টি। বাচ্চা ও বয়স্কদের রুমে রেখে আমরা বৃষ্টির মধ্যে সৈকতে নেমেছি। অনেক ভালো লাগছে।’

হোটেল আমান ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক জাহিদ হোসাইন জানান, গত দুদিন পর্যটক ছিল না। আজ ১০টি রুম অগ্রিম বুকিং ছিল। তবে বিকেল হয়ে গেলেও অর্ধেকও এসে পৌঁছায়নি। অনেকে ফোন করে বলছেন, বৃষ্টির কারণে পৌঁছাতে দেরি হবে।

কুয়াকাটায় বৃষ্টিতে মেতেছেন পর্যটকরা

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। বুধবার সকাল থেকে পটুয়াখালীতে টানা মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের পুলিশ সুপার আনছার উদ্দিন জানান, বৃষ্টি শুরুর সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকদের নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। সার্বক্ষণিক ট্যুরিস্ট পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।