মাদারীপুরের শকুনি লেকে মানুষের ঢল

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাদারীপুর
প্রকাশিত: ০৪:২৫ পিএম, ১৯ জুন ২০২৪

মাদারীপুর শহরের ঐতিহ্যবাহী বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ‘শকুনি লেকপাড়া’। এখানে মানুষের পদচারণা লেগেই থাকে। তবে ঈদুল আজহার ছুটিতে যেন মানুষের ঢল নেমেছে। শনিবার (২২ জুন) পর্যন্ত জায়গাটি জমজমাট থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, একসময় নগরায়নের প্রয়োজনে এই লেকটি খনন করা হয়। বর্তমানে এর মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য মানুষের মন কাড়ে। ২০১৭ সালে পৌরসভার তত্ত্বাবধানে সাড়ে ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে লেকের সৌন্দর্যবর্ধন করে আরও দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলা হয়। এখন সৌন্দর্যপিপাসু মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন সকাল-বিকাল ছুটে আসেন লেকের পাড়ে। সকালের নির্মল হাওয়া আর বিকেলের হাঁটাহাঁটি শহরবাসীর নিত্যদিনের ঘটনা। পাশাপাশি দুই ঈদ, নববর্ষ, পূজাসহ বিভিন্ন দিবসগুলোতে লেকপাড়ে মানুষের ঢল নামে।

মাদারীপুরের শকুনি লেকে মানুষের ঢল

বিশেষ করে দুই ঈদের প্রায় এক সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১০ পর্যন্ত মানুষের ঢল নামে। এমনকি আশপাশের জেলা থেকেও এখানে অনেকেই আসতে দেখা যায়।

লেকে ঘুরতে আসা হাসিনুর বেগম ও সিমা আক্তার বলেন, ‘আমরা সবাই চাকরির সুবাদে পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকি। ঈদে জেলায় এসেছি। যে কয়দিন মাদারীপুরে থাকবো, সে কয়দিনই এই শকুনি লেকপাড়ে ঘুরতে আসবো। আমাদের ছেলে-মেয়েরা এখানে আসতে খুব পছন্দ করে।’

মাদারীপুরের শকুনি লেকে মানুষের ঢল

শিশুপার্কে আসা ঘুরতে আসা মেহেদী হাসান বলেন, ‘বিনোদন বলতেই আমরা বুঝি এই শকুনি লেক। এখানে এলে ভালো লাগে। তাই বিশেষ দিনগুলোতে লেকপাড়ে ছুটে আসি।’

মাদারীপুরের পরিবেশবাদী সংগঠন ফ্রেন্ডস অব নেচারের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক রাজন মাহমুদ বলেন, লেকটি মাদারীপুর শহরের পুরোনো ঐতিহ্য বহন করে। সুদূর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে লেকের পানি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। তা নাহলে এর সৌন্দর্য একদিন বিলীন হয়ে যাবে।

মাদারীপুরের শকুনি লেকে মানুষের ঢল

এ বিষয়ে মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ বলেন, লেকটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রায় প্রতিদিনই সব বয়সী মানুষ ছুটে আসেন। আশা করছি, ভবিষ্যতে লেকটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিণত হবে।

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।