ঈদের পরদিনই পরিচ্ছন্ন শহর পেলেন রাজশাহী মহানগরবাসী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী
প্রকাশিত: ০১:২৮ পিএম, ১৮ জুন ২০২৪

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের ঘোষণা অনুযায়ী নির্ধারিত সময় সোমবার (১৭ জুন) দিনগত রাত ১ টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঈদের পরদিনই পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার পেলেন রাজশাহী মহানগরবাসী।

কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সহযোগিতা করার জন্য নগরবাসীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাসিক মেয়র। রাসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ জানিয়েছে, এবার রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডে পশু কোরবানির জন্য ২১০টি স্থান নির্ধারণ করা হয়। কোরবানির বর্জ্য অপসারণে রাসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পরিচ্ছন্ন বিভাগের ১৩৯৪ জন কর্মী বর্জ্য অপসারণ ও শহর পরিচ্ছন্ন কাজে নিয়োজিত রয়েছে। প্রায় ৪০০ ভ্যান, দুটি স্টিড রোলার, ছয়টি ট্রাক্টর ডবল ট্রলিসহ, ১৫টি হাইড্রোলিক ট্রাক, দুটি ওয়াটার ট্যাংকার এ কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছে। পশু কোরবানির স্থানগুলোতে পর্যাপ্ত ব্লিচিং পাওডার ছিটানো হচ্ছে।

সোমবার (১৭ জুন) বিকেলে নগরীর ১৮নম্বর ওয়ার্ডের শারীরিক শিক্ষা কলেজ সংলগ্ন পবাপাড়া সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) থেকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর তিনি নগরীর বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।

ঈদের পরদিনই পরিচ্ছন্ন শহর পেলেন রাজশাহী মহানগরবাসী

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাসিকের প্যানেল মেয়র-২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন ডলার, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা সেলিম রেজা রঞ্জু, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা (মনিটরিং) সাজ্জাদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে রাসিকের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা সেলিম রেজা রঞ্জু জানান, এবার রাজশাহী মহানগরীতে প্রায় ৩ হাজার মেট্রিক টন কোরবানির বর্জ্য তৈরি হয়েছে। রাসিক মেয়রের দিক-নির্দেশনা ও ঘোষণা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কোরবানির শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছি।

ঈদের সকাল ১১টা থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে পশু কোরবানির স্থান থেকে বর্জ্য সংগ্রহ ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম শুরু করে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। ৩০টি ওয়ার্ড থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে ২৮টি এসটিএস নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যা থেকে রাত ১টার মধ্যে বর্জ্য নগরীর সিটি হাট সংলগ্ন ভাগাড়ে নিয়ে ফেলা হয়। আজ ও আগামীকাল যত কোরবানি হবে, তা থেকে তৈরি বর্জ্যও দ্রুত অপসারণে প্রস্তুত আমরা।

সাখাওয়াত হোসেন/এমএএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।