গ্রামে গ্রামে চলছে কোরবানি উৎসব
মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় সারাদেশের মতো চট্টগ্রামের মিরসরাইয়েও চলছে পশু কোরবানি। সামর্থ্য অনুযায়ী ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পশু কোরবানি করছেন। সোমবার (১৭ জুন) সকালে ঈদুল আজহার নামাজের পরপরই উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভার ২১০টি গ্রামে শুরু হয় পশু কোরবানি।
সরেজমিনে দেখা যায়, ত্যাগের মহিমায় যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পশু কোরবানি করছেন উপজেলাবাসী। কেউ কোরবানি দিচ্ছেন রাস্তায় থাকা নির্ধারিত স্থানে আবার কেউবা কোরবানি দিচ্ছেন বাসাবাড়ির আঙিনায়। কোরবানির কসাইরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। চামড়া ছাড়িয়ে মাংস কাটার কাজ করছেন তারা।
ওয়াহেদপুর এলাকার বাসিন্দা আবু জাফর বলেন, মহান আল্লাহপাক তৌফিক দিয়েছেন তাই প্রতিবারের মতো এবারও পশু কোরবানি দিয়েছি। তবে কোরবানির পশুর সঙ্গে যেন মনের পশুও কোরবানি দেওয়া হয় সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।
আরও পড়ুন
- মহল্লায় মহল্লায় চলছে পশু কোরবানি
- আজ ভিন্ন রূপে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
- গোর-এ শহীদ ময়দানে এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত
মিরসরাই সদরের বাসিন্দা আজিজ মিয়া বলেন, আমি সাধারণত ছাগল দিয়েই কোরবানি দিয়ে থাকি। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। কাটাকাটি শেষ হলে আত্মীয়-স্বজন ও গরিব-দুঃখীদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নেবো।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চড়া মজুরি চাচ্ছেন অভিজ্ঞ কসাইরা। অনেকে চড়া মজুরি দিয়েও কসাই পাননি। তাই অনেকে বাধ্য হয়েই মৌসুমি কসাই দিয়ে চামড়া ছাড়ানোর কাজ করাচ্ছেন। অনেক কোরবানিদাতাই এবার কসাইয়ের অভাবে কোরবানি দেবেন দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দিন।
মঘাদিয়া এলাকার বাসিন্দা এনামুল হক বলেন, বছরে একদিন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কোরবানি করি। পরিবারের সবাই মিলে গরু জবাই থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজ করে থাকি। অন্যরকম আনন্দ পাওয়া যায়।
মিরসরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাকিরুল ফরিদ বলেন, এবার উপজেলাজুড়ে ৪৫ হাজার পশু কোরবানি হবে। পশু প্রস্তুত ছিল প্রায় ৫০ হাজার। খামারিরা অন্য বছরের তুলনায় পশুর দামও ভালো পেয়েছেন।
এম মাঈন উদ্দিন/বিএ/জিকেএস