ঈদযাত্রার শেষ দিনে যাত্রীর চাপ মাদারীপুরে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাদারীপুর
প্রকাশিত: ১২:৪২ পিএম, ১৬ জুন ২০২৪

ঈদযাত্রার শেষ দিনে দক্ষিণাঞ্চলের বাড়ি ফেরা মানুষজনের চাপ বেড়েছে। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে দূরপাল্লার পরিবহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ির চাপও বেড়েছে অনেক। তবে পদ্মা সেতু থাকায় ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। মোটরসাইকেল চালিয়েও বাড়ি ফিরছেন অনেকে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার (১৬ জুন) সকাল থেকেই পদ্মা সেতু পার হয়ে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের মাদারীপুরসহ বিভিন্ন জেলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসছে যাত্রীবাহী পরিবহন। মাদারীপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, বরগুনাসহ ২১ জেলার মানুষের এ সড়ক দিয়ে বাড়ি ফিরছেন।

এছাড়াও পরিবহনের পাশাপাশি প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস এবং মোটরসাইকেলেও চাপ অনেক দেখা যায়। অন্যদিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া পরিবহনগুলো প্রায় যাত্রীশূন্য।

ঈদযাত্রার শেষ দিনে বেড়েছে যাত্রীর চাপ

ঢাকা থেকে সার্বিক পরিবহনে আসা যাত্রী জাকারিয়া মাহফুজ বলেন, আমার বাড়ি মাদারীপুরের হাজির হাওলা গ্রামে। আমি পরিবার নিয়ে নিজ বাড়িতে ঈদ করতে এসেছি। আজ ভোরে ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে নিজ গ্রামে এসে পৌঁছেছি। তবে পদ্মা সেতু না থাকলে এত তাড়াতাড়ি ও সুন্দরভাবে আসা সম্ভব হতো না।

ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে আসা মো. মামুন হোসেন বলেন, আমি ঢাকাতে চাকরি করি। পরিবার গত তিনদিন আগে মাদারীপুরের কালকিনিতে পাঠিয়েছি। আজ সকালে নিজেই মোটরসাইকেল চালিয়ে এসেছি।

সোনারী পরিবহণের সুপারভাইজার মো. মামুন শিকদার বলেন, গত দুই দিন ধরে যাত্রীর চাপ অনেক বেশি। তবে আজ সকাল থেকে চাপ আরও অনেক বেড়েছে।

ঈদযাত্রার শেষ দিনে বেড়েছে যাত্রীর চাপ

শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাকিল আহমেদ বলেন, ঈদ সামনে রেখে মহাসড়কে স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে পরিবহনের চাপ। এসময় আমাদের পুলিশের টিম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করছেন।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, মহাসড়কে যাত্রীরা যেন নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে, সে ব্যাপারে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/এমআইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।