ঈদযাত্রার শেষ মুহূর্তে চন্দ্রা মোড়ে যানজট

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাজীপুর
প্রকাশিত: ০৯:৫৬ পিএম, ১৫ জুন ২০২৪

ঈদযাত্রার শেষ মুহূর্তে গাজীপুরে চন্দ্রা মোড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (১৫ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে যানজট অব্যাহত ছিল। চন্দ্রা মোড় থেকে নবীনগর রোডে বিকেএসপি পর্যন্ত এবং চন্দ্রা মোড় থেকে মৌচাক পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

হাইওয়ে পুলিশ বলছে, বিকেলের দিকে রাস্তায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় এ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তবে তা দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী থাকছে না।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদের ছুটিতে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা শনিবারও অব্যাহত আছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার যারা নানা কাজে এখনো গ্রামের বাড়িতে যেতে পারেননি, তারা আজ সকাল থেকে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন। এতে দুপুরের পর মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের কিছুটা সংকট দেখা দেয়। কারণ সকালে যেসব বাস যাত্রী নিয়ে উক্তরাঞ্চলে গেছে, সেগুলো ফের ঢাকায় ফিরতে বিকেল ও সন্ধ্যা হয়ে গেছে। এসময় সড়কে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে মানুষ ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক, পিকআপে করে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছুটে যাচ্ছেন। তবে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রার ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।

ঈদযাত্রার শেষ মুহূর্তে চন্দ্রা মোড়ে যানজট

বিকেল থেকে ফ্লাইওভারের ওপরে ও নিচে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় বলে জানান সফিপুর এলাকার ব্যবসায়ী মাহমুদ হাসান।

ঈদযাত্রার শেষ মুহূর্তে চন্দ্রা মোড়ে যানজট

চন্দ্রা এলাকার বাসিন্দা এমারত হোসেন বলেন, যাত্রীবাহী বাসগুলো চন্দ্রা মোড়ে এসে যাত্রী নিতে গেলে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যে পরিমাণ যাত্রীবাহী বাস ঢাকা থেকে নবীনগর দিয়ে চন্দ্রা হয়ে এবং গাজীপুর থেকে মৌচাক ও সফিপুর হয়ে চন্দ্রা দিয়ে উত্তরাঞ্চলে প্রবেশের জন্য আসে, এর ঠিক কম পরিমাণ বাস চন্দ্রা অতিক্রম করে। যে কারণে থেমে থেমে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন বলেন, চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় যানবাহন ও মানুষের ব্যাপক চাপ রয়েছে। তবে যানজট বেশিক্ষণ স্থায়ী হচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

আমিনুল ইসলাম/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।