মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে: জি এম কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর
প্রকাশিত: ০৯:০৪ পিএম, ১৫ জুন ২০২৪

মিয়ানমার সেন্টমার্টিনের কাছে যুদ্ধজাহাজ নিয়ে দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত হানার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের। মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলেও দাবি করেন তিনি।

শনিবার (১৫ জুন) বিকেলে চারদিনের সফরে রংপুরে গিয়ে রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে তারা হামলা চালিয়ে আসছে। বিভিন্নভাবে তারা আমাদের ভূখণ্ডে চলে আসতে চাচ্ছে। দেশের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী অনেক শক্তিশালী শুনেছি। কিন্তু এটি নিয়ে আমরা তাদের কোনো ভূমিকা দেখছি না। মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এটি সত্যিই দুঃখজনক।’

তিনি বলেন, ‘এর আগে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে আমাদের দেশে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। সরকার মানবতা দেখিয়ে সেই বোঝা ঘাড়ে নিয়েছে। বর্তমানে তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হোক। মিয়ানমার যদি সেন্টমার্টিন দখলে নিয়ে ফেলে, আবার কোনো মহত্ত্বের কারণে তা ছেড়ে দেওয়া হবে কি না আমরা জানি না। সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। সংসদ চালু থাকলে এটি কেন হচ্ছে আমি প্রশ্ন করতাম।’

বাজেট প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘সরকার যে বাজেট করেছে তা দুর্বৃত্তায়ন সহায়ক বাজেট। বিভিন্ন দুর্বৃত্তায়নকে এ বাজেটে উৎসাহিত করা হয়েছে। দুষ্টের পালন ও শিষ্টের দমন করা হচ্ছে বিভিন্ন নীতিতে। সরকারের আশপাশের মানুষ ধনী থেকে অতিধনী হচ্ছে আর সাধারণ মানুষ কষ্ট ভোগ করছে। এবারের বাজেটের মাধ্যমে বৈষম্যের দেশ তৈরি করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে কোনো সময় অর্থনৈতিক সংকট হয়েছে বলে আমার জানা নেই। বর্তমানে যে সংকট তৈরি হয়েছে তা করেছে সরকার। তারা উচ্চাভিলাষী মেগা প্রকল্প করে, প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়েছে। আমি বলবো, অর্থের বিরাট অপচয় হয়েছে। তাই দেশে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে।’

জি এম কাদের আরও বলেন, ‘বর্তমানে কর ছাড়ের সুফল পাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে করের বোঝা বইতে হচ্ছে জনগণকে। সরকার সংকুচিত অর্থ সরবরাহ মুদ্রানীতি গ্রহণ করার কথা বলেছে। কিন্তু দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে সিন্ডিকেট। তাই এই নীতি কোনো কাজে আসবে না।’

বিরোধীদলীয় এ নেতা আরও বলেন, ‘সরকার বিদ্যুৎ ও গ্যাস আমদানি করছে। অথচ দেশে গ্যাসের বিশাল মজুত রয়েছে। সেটি উত্তোলনের বিষয়ে সরকারের কোনো দৃষ্টি নেই। এতে উচ্চমূল্যে জনগণকে বিদ্যুৎ-গ্যাস ব্যবহার করতে হচ্ছে। সংকট ও উচ্চমূল্য দিয়ে গ্যাস ব্যবহার করতে না পেরে অনেক ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয়ে গেছে। দেশে বেকারত্ব বাড়ছে।’

এসময় জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইয়াসির আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আলাউদ্দিন মিয়াসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জিতু কবীর/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।