উত্তরের সড়কে এবারও স্বস্তি
দুদিন পরই ঈদুল আজহা। পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। এতে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়লেও এখনো সৃষ্টি হয়নি কোন যানজট। ফলে উত্তরের সড়কে এবারও ঈদ যাত্রায় মিলেছে স্বস্তি।
শুক্রবার (১৪ জুন) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও কোনো যানজট দেখা যায়নি। উত্তররে যানজট আতঙ্কে থাকা ৪৫ কিলোমিটার মহাসড়কে স্বাভাবিক গতিতেই যান চলাচল করছে।
এদিকে যানজট এড়াতে বঙ্গবন্ধু সেতু অতিক্রম করলেই গাড়িগুলোকে দ্রুত পার করে দিচ্ছেন জেলা পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগ। পাশাপাশি একই কাজ করা হচ্ছে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকাতেও। যানবাহনকে এলোমেলোভাবে ঢুকতে বা দাঁড়াতে দিচ্ছে না হাইওয়ে পুলিশ।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর হয়ে হাটিকুমরুল গোলচত্বর দিয়ে দেশের উত্তর ও দক্ষিণের ২২ জেলার মানুষ চলাচল করে। এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১৭-২০ হাজার যানবাহন চলাচল করে। তবে ঈদের সময় এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫-৪৫ হাজারে। এ সময়ে অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের কারণে প্রতি বছরই যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন উত্তরের যাত্রীরা। তবে গত দুয়েক বছরের ঈদে তেমন কোনও যানজট সৃষ্টি হয়নি এই মহাসড়কে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মনিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, মহাসড়কে চাপ থাকলেও উত্তরের পথে কোনো যানজট বা ধীরগতি নেই। আশা করছি উত্তরবঙ্গের ঘরে ফেরা মানুষের গত ঈদের মতো এবারের ঈদযাত্রাও নির্বিঘ্ন হবে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল ওয়াদুদ জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের ছুটিতে মহাসড়কে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি যানবাহন চলাচল করছে। তবে কোথাও যানজটের সৃষ্টি হয়নি। আর এ যানজট যেন সৃষ্টি না হয় সেদিকে নজর রেখেই কাজ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) আরিফুর রহমান মণ্ডল জাগো নিউজকে বলেন, ঈদযাত্রা যানজটমুক্ত ও মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে জেলা পুলিশ, ট্রাফিক বিভাগ ও হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আট শতাধিকের অধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সেতুর ওপার থেকে যানবাহনগুলো আসামাত্রই সেগুলোকে দ্রুত সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে চাপ বাড়লেও কোন যানজট হচ্ছে না।
এম এ মালেক/আরএইচ/এএসএম