সাঁতরে লোকালয়ে আসা দুই হরিণ ফিরেছে সুন্দরবনে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বাগেরহাট
প্রকাশিত: ০৯:৪৯ পিএম, ১৩ জুন ২০২৪

সুন্দরবনের নদী সাঁতরে লোকালয়ে আসা দুটি চিত্রল হরিণ বনে ফিরিয়ে দিয়েছে গ্রামবাসী। এর মধ্যে একটি হরিণ স্থানীয়রা ধরে বনে অবমুক্ত করে। অন্যটি তাড়া খেয়ে নদী পার হয়ে আবার বনে ফিরে যায়।

বুধবার (১২ জুন) রাত ১১টার দিকে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন দক্ষিণ চালিতাবুনিয়া গ্রামে ঢুকে পড়ে হরিণ দুটি।

বনবিভাগ ও বনসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের পর সুন্দরবনে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। বনের ডোবা-নালায় রিমালের জলোচ্ছাসের পানি আটকে তাতে প্রচুর পরিমাণে মশা জন্ম নিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মশার কামড়ে অতিষ্ট হয়ে হরিণ দুটিও লোকালয়ে চলে এসেছিল।

ওয়াইল্ড টিমের শরণখোলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মাঠ কর্মী আলম হাওলাদার জাগো নিউজকে জানান, রাতে হরিণ দুটি বগী-শরণখোলা ভারাণী নদী সাঁতরে দক্ষিণ চালিতাবুনিয়া গ্রামের শাহ আলমের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। খবর পেয়ে গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় ওয়াইল্ড টিম ও ভিলেজ টাইগার টিমের (ভিটিআরটি) সদস্যরা একটি হরিণ ধরা হয়। রাতেই সেটি পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের বগী স্টেশনের বনরক্ষীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অন্যটিকে ধরার চেষ্টা করলে সেটি নিজেই নদী সাঁতরে বনের ভেতর চলে যায়। স্ত্রী হরিণ দুটির বয়স এক বছর হতে পারে বলে জানান তিনি।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান বলেন, রাতের অন্ধকারে নদী সাঁতরে দুটি হরিণ বনের কাছাকাছি গ্রামে চলে যায়। হরিণ দুটিকে স্থানীয়দের সহযোগীতায় বনে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালে জলোচ্ছাসের বদ্ধ পানিতে প্রচুর পরিমাণে মশার জন্ম হয়েছে। মশার উৎপাতে আমরাই টিকতে পারছি না। ধারণা করা হচ্ছে হরিণ দুটিও মশার কামড়ে টিকতে না পেরে লোকালয়ে চলে গিয়েছিল।

পরবর্তীতে বনের হরিণ বা অন্য কোনো বন্যপ্রাণি লোকালয়ে গেলে তাদের না মেরে যেন নিরাপদে বনে ফিরিয়ে দেওয়া হয়, সেব্যাপারে এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হয়েছে। তাছাড়া লোকালয় সংলগ্ন বন অফিসগুলোর বনরক্ষীদেরও নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এনআইবি/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।