কুড়িগ্রামে মানসিক প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের পর হত্যা, আটক ২
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় অজ্ঞাত এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার প্রায় ১০ ঘণ্টার মধ্যে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত ধনারচর গ্রাম থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।
আটকরা হলেন, বড়াইকান্দি মোল্লাপাড়ার মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে আবুল কালাম (৪৫) এবং ঝগড়ারচর গ্রামের মৃত মহাজন শেখের ছেলে লালকু মিয়া (৪৬)। ধনারচর গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
সোমবার (১০ জুন) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের বড়াইকান্দি বাজারের আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসের সামনে থেকে পঞ্চাশোর্ধ্ব মানসিক ভারসাম্যহীন অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার করে রৌমারী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রাম পুলিশ বাচ্চু মিয়া বাদী হয়ে রৌমারী থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় বছর থেকে বড়াইকান্দি বাজারে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন নারী বাজারের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করতেন। সোমবার ভোরে ফজরের নামাজের জন্য মুসল্লিরা মসজিদে যাওয়ার সময় মহাসড়কের মাঝামাঝি ওই নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তারা গ্রাম পুলিশের সহায়তায় রৌমারী থানার পুলিশকে খবর দেন।
ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে মরদেহটি থানায় নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠায়। অজ্ঞাত ওই নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার প্রায় ১০ ঘণ্টার মধ্যে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত ধনারচর গ্রাম থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। আটকরা প্রাথমিকভাবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
কুড়িগ্রাম রৌমারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মমিনুল ইসলাম আটকের কথা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার নদী বিচ্ছিন্ন ধনারচর গ্রামে পুলিশের দক্ষ দল সাদা পোশাকে অভিযান চালিয়ে আবুল কালাম এবং লালকু মিয়াকে আটক করে। মঙ্গলবার গ্রেফতার দুজনকে জেলহাজতে পাঠানো হবে।
ফজলুল করিম ফারাজী/এফএ/জেআইএম