ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

মিরসরাই-সীতাকুন্ড অংশে ২০ কিলোমিটার যানজট

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
প্রকাশিত: ০৩:৫৫ পিএম, ০৯ জুন ২০২৪

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই-সীতাকুন্ড অংশে প্রায় ২০ কিলোমিটার তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কের সংস্কারকাজ চলার কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।

রোববার (৯ জুন ) বেলা ১১টা থেকে যানজটের কবলে পড়ে দূরপাল্লার শত শত যানবাহন। যানজটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দূর-দূরান্তের হাজারো যাত্রী।

জানা গেছে, মহাসড়কের মিরসরাইয়ের কলঘর থেকে সীতাকুন্ডের পন্থিছিলা পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দূরপাল্লার শত শত বাস, ট্রাক, কার, ট্যাক্সিসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকে পড়েছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার যানজট, যাত্রীদের ভোগান্তি

মিরসরাইয়ের গাছবাড়িয়া এলাকা্র বাসিন্দা কামরুল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি চট্টগ্রাম শহরে যাওয়ার জন্য হাদিফকিরহাট বাজার থেকে বাসে উঠি। কিন্তু যানজটের কারণে ১৫ মিনিটের পথ যেতে প্রায় দুই ঘণ্টা লেগেছে। পরে বাধ্য হয়ে গাড়ি থেকে নেমে বাড়িতে ফিরে আসি।'

প্রিয় দে নামে আরেক যাত্রী বলেন, আমি গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজে শহরে যাচ্ছিলাম। বেলা ১১টায় রওয়ানা দিয়ে এখনও পথে রয়েছি। কখন পৌছাবো বুঝতে পারছিনা।

ডাকঘর এলাকার বাসিন্দা নুরুল আনোয়ার পারভেজ জানান, তিনি ব্যক্তিগত কাজে সীতাকুন্ড যেতে গাড়িতে ওঠেন। কিন্তু যানজটের কারণে মন্থর গতিতে গাড়ি চলায় পাঁচ মিনিটের পথ বড়দারোহাট বাজার পর্যন্ত এসেছেন এক ঘণ্টারও বেশি সময়ে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার যানজট, যাত্রীদের ভোগান্তি

যানজটের বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, মহাসড়কের টেরিয়াইল এলাকার দিকে কিছু সংস্কারকাজ চলছে। এজন্য যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে। আশা করছি অল্প সময়েই যানজট নিয়ন্ত্রণে আসবে।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর উপ-প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন খালেদ চৌধুরী জানান, মহাসড়কের ১৫০ মিটারের মতো অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তা সংস্কার করা হচ্ছে। গাড়ি ধীরে চলায় মাঝে মধ্যে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

এম মাঈন উদ্দিন/এনআইবি/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।