ট্রেনে জানালার পাশে দাঁড়ানোয় কিল-ঘুসি, যাত্রী নিহত

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নরসিংদী
প্রকাশিত: ০৩:১৫ পিএম, ০৬ জুন ২০২৪

নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনে জানালার পাশে দাঁড়ানো নিয়ে তর্কের জেরে এক যাত্রীর কিল-ঘুসিতে আরেক যাত্রী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকালে নরসিংদী রেলস্টেশনে ঢাকা মেইল ট্রেনের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত যাত্রীকে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে গ্রেফতার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। নিহত যাত্রী ঝুমুর কান্তি বাউল নরসিংদী শহরের বীরপুর এলাকার প্রত্যুত কুমার বাউলের ছেলে।

গ্রেফতার মনজুর চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড এলাকার হাফেজ মিয়ার ছেলে।

ট্রেনযাত্রীরা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখী ঢাকা মেইল ট্রেনটি ছেড়ে আসে। ট্রেনটি আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ২৫ মিনিটের দিকে নরসিংদী রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতী দেয়। নরসিংদী থেকে ঝুমুর কান্তি বাউল নামে এক যাত্রী ট্রেনে উঠে জানালার পাশে দাঁড়ান। ওই সময় সিটে বসা মনজুর জানালার পাশে দাঁড়াতে বাধা দেন তাকে। এ নিয়ে দুই জনের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে সিটে বসা মনজুর নিহত ঝুমুরকে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুসি মারতে শুরু করেন। এতে ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হয়ে জ্ঞান হারান ঝুমুর বাউল। পরে তাকে ট্রেন থেকে নামিয়ে রেলস্ট্রেশনের বসানো হয়। তখন তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে যাত্রীরা তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে ট্রেনটি সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে নরসিংদী রেলস্টেশন ছেড়ে আসলে অভিযুক্ত যাত্রীও সেই ট্রেনে চড়ে কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছান। এর আগেই যাত্রীরা ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে অভিযুক্ত ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করলে কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশের নজরে আসে। পরে ট্রেনের ভেতর থেকে তাকে গ্রেফতার করে রেলওয়ে পুলিশ।

নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার এটিএম মুছা বলেন, মূলত জানালার পাশে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে দুই যাত্রীর মধ্যে হাতাহাতি হয়। এতে এক যাত্রীর আঘাতে অপর যাত্রী মারা যান।

নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশ আটক করেছে। ময়নাতদন্তসহ অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া চলমান।

সঞ্জিত সাহা/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।