ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তসঃত্ত্বা ১১ বছরের শিশু
পটুয়াখালীর দশমিনায় ১১ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক সিজান মৃধার পরিবারের কাছে ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে বিচার দিলেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি।
ফলে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে অভিযুক্ত সিজান ও তার বাবা-মাকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দশমিনা থানা পুলিশকে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে দাবি করা হয়, নির্যাতনের শিকার ১১ বছরের ওই শিশু দশমিনা আলীপুরা একটি স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণিকে লেখাপড়া করে। স্কুলে এবং প্রাইভেট পড়তে আসা-যাওয়ার পথে আসামি সিজান প্রায়ই তাকে উত্যাক্ত করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর বিকেলে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব আলীপুর গ্রামের নজরুল মৃধার ছেলে সিজান মৃধা তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের ছাদে ধর্ষণ করেন। এরপর ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে না বলতে প্রাণের ভয় দেখিয়ে আরও বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করলে ওই শিশু অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
এদিকে শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করলে শিশুটি তার মায়ের কাছে পুরো বিষয়টি খুলে বলে। শিশুটির পরিবার অভিযুক্ত সিজানের পরিবারের কাছে বিচার দিলেও কোনো প্রতিকার পায়নি। উল্টো সিজানের পরিবার প্রভাশালী হওয়ায় তারা হুমকি ধামকি দিয়ে নির্যাতিত শিশুটিকে নিয়ে এলাকা থেকে চলে যেতে বলেন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ২৬ মে নির্যাতিত ওই শিশুর মা বাদী হয়ে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
অভিযুক্ত সিজান মৃধা ও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম মজুমদার জানান, এ ঘটনায় পুলিশ প্রয়োজনীয় আইগত পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
আব্দুস সালাম আরিফ/এফএ/জেআইএম