সম্পর্ক ছিন্ন করায় কিশোরীকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর
প্রকাশিত: ১০:০৭ এএম, ০২ জুন ২০২৪

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করায় এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সাবেক প্রেমিক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার একদিন পর ওই কিশোরীকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ ও স্থানীয়রা।

ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরীর সঙ্গে আড়াই বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল উপজেলার ছোট সিধলকুড়া এলাকার খোদা বক্স প্যাদার ছেলে ও গোসাইরহাট সরকারি শামসুর রহমান কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সিয়াম প্যাদার (১৯)। সম্প্রতি তাদের প্রেমের সম্পর্কের টানাপোড়েন হলে অন্তত ২০ দিন আগে সম্পর্ক ছিন্ন করে ওই কিশোরী। এরপর থেকেই তার ওপর ক্ষিপ্ত হন প্রেমিক সিয়াম।

বৃহস্পতিবার ওই কিশোরী কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিল। সে ডামুড্যার ফরাজির টেক পৌঁছালে সিয়াম ও তার চার সহযোগী ওই কিশোরীর গতিরোধ করে এবং কিছু না বোঝার আগেই তার হাত-মুখ বেঁধে পরিত্যক্ত একটি ঘরে নিয়ে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।

এদিকে ওই কিশোরী বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজ চালাতে থাকে, একপর্যায়ে খোঁজ না পেলে থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। শুক্রবার রাতে সিধলকুড়া এলাকার একটি কাঠের ব্রিজে ওই কিশোরীর চোখ ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়রা। তারা পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও শনিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায়।

ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, মেয়ে নিখোঁজ হলে থানা পুলিশকে বিষয়টি জানাই। রাতে বাড়ি ফেরার পথে জানতে পারি মেয়ে হা-পা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় সিধলকুড়া ব্রিজে পড়ে আছে। পরে পুলিশসহ মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। যারা আমার মেয়ের সঙ্গে এমন করেছে তাদের সকলের উপযুক্ত বিচার চাই। যাতে অন্য কোনো বাবার সন্তানের সঙ্গে এমন ঘটনা না ঘটে।

এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মিতু আক্তার বলেন, ধর্ষণের ঘটনা উল্লেখ করে এক কিশোরীকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। এটি ধর্ষণ কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আলামত সংগ্রহ ও ডাক্তারি পরীক্ষা চলছে। ফলাফল আসলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

অন্যদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত সিয়াম। তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমারত হোসেন বলেন, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক কিশোরীকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বিধান মজুমদার অনি/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।