লালমনিরহাট
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক বসতবাড়ি-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আহত ৩
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা ও কালীগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ঝড়ে শতাধিক বসতবাড়িসহ অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ঝড়ে মাদরাসার দুই শিক্ষক ও এক শিক্ষার্থীসহ অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ভোরে জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি, ফকিরপাড়া, ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়ন ও কালীগঞ্জ উপজেলার মদাতী, ভোটমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে এ অবস্থা দেখা যায়।
এছাড়া বিভিন্ন এলাকার শতাধিক বসতবাড়ি, গাছপালা ও বিদ্যুতের খুটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ফলে বিদ্যুতহীন অবস্থায় পড়ে আছে হাতীবান্ধা ও কালীগঞ্জের বেশিরভাগ অঞ্চল।
স্থানীয়রা জানান, কালীগঞ্জ উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গাগলারপাড় এলাকার উত্তরপাড়া হযরত আবু বক্কর সিদ্দিক হাফিজিয়া মাদরাসার টিনশেড ভবনটির ওপর ঝড়ে গাছ পড়ে ঘরটি ভেঙে যায়।
এসময় নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে গিয়ে ওই মাদ্রাসার দুজন শিক্ষক ও একজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, সকালে প্রচন্ড বেগে ঝড়ো বাতাস শুরু হয়। এতে নিমেষেই ঘরবাড়ি, দোকান লণ্ডভণ্ড করে দেয়।
কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাহির তাহু জাগো নিউজকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সহায়তা দেওয়া হবে। একই সঙ্গে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
মদাতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বিপ্লব বলেন, আমার ইউনিয়নের মাদরাসা, ঘরবাড়ি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি আমরা উপজেলা ইউএনওকে অবগত করেছি। শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার প্রতিষ্ঠানের তালিকা করা হচ্ছে। তালিকা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিউল হাসান/এনআইবি/জেআইএম