চুয়াডাঙ্গা
ইউপি চেয়ারম্যানকে হত্যাচেষ্টা, হেলিকপ্টারে নেওয়া হচ্ছে ঢাকায়
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নানের ওপর হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাকে জেলা সদর হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, তার অবস্থা গুরুতর। দুপুর আড়াইটার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ১০টার দিকে দর্শনা-জীবননগর সড়কে আকন্দবাড়িয়া আবাসন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাপলা খাতুন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নানকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এতে ফুসফুসে ক্ষত হয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছি।
এদিকে খবর পেয়ে আব্দুল হান্নানকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দেখতে যান চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর। তিনি হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলে নেতাকর্মীদের আশ্বস্ত করেন।
এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হাসপাতালে আব্দুল হান্নানকে দেখতে যান।
উথলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, আব্দুল হান্নান চাচা ব্যক্তিগত কাজ শেষে মোটরসাইকেলে করে জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থেকে উথলী ইউনিয়ন পরিষদে আসছিলেন। তিনি আকন্দবাড়িয়া আবাসন পার হলে মোটরসাইকেলে দুজন পেছন থেকে তার পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেন। তিনি ওই অবস্থায় মোটরসাইকেল চালিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে চলে আসেন। পরে তাকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে।
জীবননগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) একরাম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর এমপি বলেন, গত সংসদ নির্বাচনের আগে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময় গুরুত্ব দেয়নি। এবার মনে হচ্ছে এটা পরিকল্পিতভাবে হামলার ঘটনা। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখতে হবে।
হুসাইন মালিক/আরএইচ/এমএস