পাবনায় নির্বাচনী প্রচারণায় সংঘর্ষ, এক প্রার্থীর স্ত্রীসহ আহত ১০

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পাবনা
প্রকাশিত: ০৯:৩৮ পিএম, ২৩ মে ২০২৪
পাবনায় উপজেলা নির্বাচনে দুই প্রার্থী

পাবনায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর স্ত্রীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার দুবলিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আতাইকুলা থানায় দেওয়া অভিযোগে উভয় পক্ষই প্রতিপক্ষকে দায়ী করেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী কামিল হোসেনের (কাপ-পিরিচ) সমর্থকরা দুবলিয়া বাজারে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। একই সময় পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহেল হাসান শাহীনের (মোটরসাইকেল) কর্মী-সমর্থকরাও নির্বাচনী প্রচারে আসেন। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি ও পরে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে কামিল হোসেনের স্ত্রী হালিমা খাতুন মুক্তি, তার প্রচার প্রতিনিধি হারুনুর রশিদসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

চেয়ারম্যান প্রার্থী কামিল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‌‌‘সোহেল হাসান শাহীনের সমর্থক ছাত্রলীগ নেতা আরাফাত হোসেন সিয়ামের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা একটি মাইক্রোবাসযোগে এসে আমার কর্মী হারুন অর রশীদকে মারধর করে। এসময় আমার স্ত্রী এগিয়ে গেলে তাকে হেনস্তা করে এবং রাস্তার ওপর ফেলে দেয়। তারা লিফলেট, পোস্টার ও ব্যানার হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে।’

সোহেল হাসান শাহীনের সমর্থক আরাফাত হোসেন সিয়ামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে সিয়ামের বাবা সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রইচ উদ্দিন পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, কামিলের সমর্থকরা সিয়াম ও তার সঙ্গীদের ওপর হামলা করেছেন।

আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। এ ঘটনায় কামিল হোসেন ও সিয়ামের বাবা অভিযোগ দিয়েছেন। যে পক্ষই দোষী হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে খুব শিগগির আইন প্রয়োগ করা হবে।

আগামী ২৯ মে পাবনা সদর, ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন প্রথমবারের মতো ইভিএমে অনুষ্ঠিত হবে।

আমিন ইসলাম জুয়েল/এসআর

 

 

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।