চাঁপাইনবাবগঞ্জ
৫০-৬০ কেজিতে মণ ধরে আম কেনেন আড়তদাররা, মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ
৪০ কেজিতে হয় এক মণ। অথচ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫০-৬০ কেজিতে মণ ধরে আম কেনেন আড়তদাররা। চাষিদের জিম্মি করে মণে ১৫-২০ কেজি পর্যন্ত বেশি আম নেন তারা। বিষয়টির সমাধান চান চাষিরা।
এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী ডা. মো. আব্দুস শহীদের কাছে অভিযোগ করেছেন আমচাষিরা। শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কুমুরপুর এলাকায় এক্সচেঞ্জ অব ফার্মার ভিউ অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেন তারা। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ম্যাংগো ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আহসান হাবিব বলেন, ‘আমরা কষ্ট করে আম উৎপাদন করি। কিন্তু আড়তদাররা মণে ১৫-২০ কেজি আম বেশি নিয়ে নিচ্ছে। ৫০-৬০ কেজিতে মণ ধরে আম কিনছেন তারা। এ অনিয়ম কয়েকবছর আগে থেকেই হয়ে আসছে। আমরা এই সিন্ডিকেটের হাত থেকে মুক্তি চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও রাজশাহীতেও আমের ওজন নিয়ে ঝামেলা হয়। তাই আমরা চাই সব আম বাজারে ওজনের মাপ যেন একই হয়।’
দিন দিন আমের দাম কমে যাচ্ছে জানিয়ে সদস্য সচিব আহসান হাবিব বলেন, চাষিরা এখন অনেকটায় হতাশ। তবু কাঁচাপণ্য হিসেবে ৪৫ কেজিতে মণ দিতে চাচ্ছেন চাষিরা। কিন্তু ৫০-৬০ কেজিতে মণ! এটি অনেক বেশি হয়ে যায়। মণে ২০ কেজি আম বেশি দেওয়া অসম্ভব।
এর আগে গতবছরের ১০ আগস্ট দুপুরে রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সম্মেলন কক্ষে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ওজন নিয়ে সমস্যার কথা জানান চাষিরা। তারপরও কোনো সমাধান হয়নি।
এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ বলেন, আমচাষিদের আবেদন দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা কোনো সিন্ডিকেট রাখবো না। এবার আমের উৎপাদন কম হয়েছে। তাই আম নিয়ে আরও বেশি সিন্ডিকেট হতে পারে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার চার লাখ ৫০ হাজার টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। যা গতবছর ছিল চার লাখ ২৫ হাজার টন।
সোহান মাহমুদ/এসআর/জিকেএস