স্ত্রী তালাক দেওয়ায় শ্বশুরের দোকানে আগুন দিলেন যুবক
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে স্ত্রীর কাছ থেকে তালাকনামা পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে গভীর রাতে শ্বশুরের ফার্নিচারের দোকানে আগুন দিয়েছেন যুবক। এতে ওই এলাকার ছয়টি ফার্নিচারের দোকান পুড়ে ভস্মীভূত হয়।
মঙ্গলবার (১৪ মে) দিনগত রাত ১টার দিকে জীবননগর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন কাঠপট্টিতে ফার্নিচারের দোকানে আগুন লাগিয়ে দেন সোনা মিয়া। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানায় পুলিশ।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত সোনা মিয়া (২৫) ও শামীম হোসেন (২৯) নামের আরেকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিসি টিভির ফুটেজ দেখে শনাক্তের পর তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন জীবননগর উপজেলার একতারপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে সোনা মিয়া ও জীবননগর পৌর শহরের বসতিপাড়ার খেজমত আলীর ছেলে শামীম হোসেন।
পুলিশ জানায়, চার বছর আগে জীবননগর পৌর শহরের বসতিপাড়ার খোরশেদ আলমের মেয়ের খুশি খাতুনের সঙ্গে সোনা মিয়ার বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের কারণে খুশি খাতুন দুদিন আগে সোনা মিয়াকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান। এতে ক্ষুব্ধ হন সোনা মিয়া। প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করেন তিনি। মঙ্গলবার দিনগত রাত ১টার দিকে বন্ধু শামীম হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে জীবননগর উপজেলা শহরের কাঠপট্টিতে সাবেক শ্বশুর খোরশেদ আলমের ফার্নিচারের দোকানে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেন।
আগুন ছড়িয়ে যায় পুরো এলাকায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ছয় ব্যবসায়ীর ফার্নিচারের দোকান পুড়ে ভস্মীভূত হয়। এতে ফার্নিচার ও কাঠসহ এক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ঘটনার পর ভিডিও ফুটেজ দেখে পুলিশ দোষীদের শনাক্ত করে। পরে কাঠ ব্যবসায়ী শহিদ জীবননগর থানায় মামলা করেন। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় পুলিশ মূল আসামি সোনা মিয়া ও সহযোগী শামীমকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান বলেন, অভিযুক্তরা স্বীকার করেছেন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তারা জীবননগরের কাঠপট্টিতে গভীর রাতে আগুন দেন।
হুসাইন মালিক/এসআর/জেআইএম