কোনোভাবেই থামানো গেলো না যুবদল নেতার প্রচারণা, অবশেষে শোকজ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় প্রতীক বরাদ্দের আগেই প্রচারণা চালিয়েছেন মো. আল জাবেদ নামে এক চেয়ারম্যান প্রার্থী। আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল্লাহ আল মামুন। শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
মো. আল জাবেদ উপজেলা যুবলদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। তিনিসহ বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ছয়জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
জানা গেছে, বিজয়নগর উপজেলায় আওয়ামী লীগের এক নেতা ও বিএনপির দুই নেতাসহ ছয়জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ডামি প্রার্থী তিনজন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের সমর্থক নাছিমা মুকাই আলী, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. রফিকুল ইসলাম, যুবলদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. আল জাবেদ। নির্বাচনে ডামি প্রার্থীরা হলেন- নাছিমা মুকাই আলীর দেবর মোশাহেদ হোসেন ও তার বক্তিগত সহকারী হারুনুর রশিদ এবং যুবদল নেতার ব্যক্তিগত সহকারী মুজিবুর রহমান।
কারণ দর্শানোর নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল চারটায় জনসভার আয়োজন করেন আল জাবের। তিনি এলাকায় মিছিল ও শোডাউন করেছেন। এর সুনির্দিষ্ট প্রমাণ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা একাধিকবার ফোন করলেও এবং বিজয়নগর থানা পুলিশ স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে প্রচারণা বন্ধ করতে নির্দেশ দিলেও তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করেননি আল জাবের।
এটি উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৫ এর পরিপন্থী। আল জাবেরের বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৩৩ অনুযায়ী প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না, তা আগামী রোববার সকাল সাড়ে নয়টার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অভিযোগে তাকে দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এফএ/এমএস