সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ড: জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি তদন্তে হবে কমিটি
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের আমরবুনিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে জীববৈচিত্র্যের কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি হবে। সোমবার এই কমিটি করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসেন।
রোববার রাত ১০টায় সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, এই কমিটিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি ডিসিপ্লিনের প্রফেসরসহ অন্যান্য সদস্যরা থাকবেন। ১০ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে কমিটি।
মো. আমির হোসেন বলেন, ৪ মে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া ও গুলিশাখালীর মাঝখানে ৪/৫ একর বনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, কোস্টগার্ড আগুন নিয়ন্ত্রণে এক যোগে কাজ করে।
সবশেষ রোববার আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান প্রধান বন সংরক্ষক। তিনি জানান, সেখানে কয়েক ফুট চওড়া ফায়ার লেন করা হয়েছে। মাটির ওপরে আগুন দেখা না গেলেও মাটির নিচে আগুন রয়েছে কি না তা জানা সম্ভব হয়নি। তাই রাতে ২০ সদস্যের একটি টিম সেখানে পানি ছিটাবে। সোমবার সকাল থেকে আবার কাজ শুরু করবে ফায়ার সার্ভিস।
এ তিনি আরও বলেন, বনের যেখানে আগুন লেগেছে, সেখানে অনেক আগে থেকেই উঁচু। জোয়ার-ভাটার পানি এখানে পৌঁছায় না। ফলে গাছের পাতার স্তর ৩-৪ ফুট উঁচু হয়ে রয়েছে। আগুন সহজে ছড়িয়ে পড়তে পেরেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুরো সুন্দরবন জুড়ে বন বিভাগের ৮০টা ক্যাম্প রয়েছে। সেই ক্যাম্পগুলোতে ৮০টা পুকুর আছে। যে পুকুরের পানির ওপর মানুষ ও বন্যপ্রাণী নির্ভরশীল। কিন্তু এই জায়গাটা এমন একটা জায়গা, যেখানে গাছপালা কম থাকায় ক্যাম্প নেই।
সুন্দরবনে আগুন লাগলে তা নিয়ন্ত্রণের জন্য দুটি পাম্প ও দুই হাজার ৪শ ফুট পাইপ রয়েছে বলে জানান প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসেন।
তিনি বলেন, এখন সুন্দরবনের জন্য ড্রোনের ব্যবস্থা করা হবে। ড্রোন দিয়ে সব সময় সুন্দরবনের ওপর নজরদারি করা হবে।
আলমগীর হান্নান/জেডএইচ/