হাতীবান্ধায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ, প্রার্থীসহ আহত ১০
লালমনিরহাটে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। এতে চেয়ারম্যান প্রার্থী (আনারস মার্কার) শাহানা ফেরদৌসী সীমা ও দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি হাসানসহ আহতদের হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (৪ মে) দুপুরে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত উভয় পক্ষের কেউই অভিযোগ দেয়নি। পুলিশ বিষয়টি অবগত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর আগে শনিবার (৪ মে) ভোরে হাতীবান্ধা উপজেলা মেডিকেল মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর সমর্থক হাফিজুল অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌস সীমাকে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সময় অশ্লীল মন্তব্য করেন। বিষয়টি জানতে পেরে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসী সীমার স্বামী ও পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল আলম সাদাত প্রতিবাদ করেন। এর প্রেক্ষিতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ এবং সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সাহানা ফেরদৌসী সীমা তার সমর্থকদের নিয়ে মেডিকেল মোড় ত্যাগ করার সময় লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালান। এ সময় লিয়াকত হোসেন বাচ্চু সমর্থকরা শাহানা ফিরদৌসী সীমার গাড়ির জানালা ভেঙে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে শাহানা ফেরদৌসী সীমা হাতে ও শরীরে আঘাতপ্রাপ্ত হন।
এ সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে দৈনিক কালের কণ্ঠের উপজেলা প্রতিনিধি হাসানের ওপর হামলা করেন সমর্থকরা। পরে আহতদের হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে আহত হাফিজুল ইসলাম বলেন, আমি কারো বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষায় কথা বলিনি, আমি শুধু কাপপ্রিচ মার্কায় ভোট চেয়েছি।
আহত গ্রাম পুলিশ রুবেল মিয়া বলেন, পাটিকাপারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের ওপর হামলা করেছে শুনে ঘটনাস্থলে এসেছি। পরে কাপপ্রিচ মার্কার সমর্থকরা আমার ওপর হামলা চালিয়ে আমার হাত ভেঙে দেয়। আমি আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি।
শাহানা ফেরদৌসী সীমার স্বামী মজিবুল আলম সাদাত বলেন, মেডিকেল মোড় এলাকায় হ্যান্ড মাইক দিয়ে আমার স্ত্রী এবং আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছিল লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর লোকজন। বিষয়টি অনেকেই সাক্ষী দিয়েছে। আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের ওপর হামলা করেছে। এ ধরনের ঘটনায় আমরা সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কিত।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী লিয়াকত হোসেন বাচ্চু জাগো নিউজকে বলেন, আপনারা সাংবাদিকরা আনারস মার্কার সমর্থক ও কর্মী। এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নাই।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাহানা ফেরদৌসী সীমা বলেন, প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থীরা আমাকে নিয়ে বাজে এবং অশ্লীল বক্তব্য দেন। এই ঘটনায় আমি এবং আমার স্বামী তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এরপর আমার সমর্থকদের ওপর কাপপ্রিচ মার্কার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লিয়াকাদ হোসেন বাচ্চুর লোকজন অতর্কিত হামলা চালালে আমিসহ আমার সমর্থক ১০ জন আহত হন।
রবিউল হাসান/এফএ/এএসএম