ডোমারে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ২০

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নীলফামারী
প্রকাশিত: ০২:২৫ পিএম, ০৪ মে ২০২৪

নীলফামারীর ডোমারে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৩ মে) রাত ১১টার দিকে উপজেলার মটুকপুর পাঙ্গা ইউনিয়নে পাঙ্গা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে পাঙ্গা বাজারে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মালেকের নির্বাচনী পথসভা চলছিল। এ সময় ওই বাজারে টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী সরকার ফারহানা আকতার সুমি তার সমর্থকদের নিয়ে একটি নির্বাচনী মিছিল বের করেন। একই সঙ্গে একই স্থানে দুই প্রার্থীর প্রচারণায় এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে স্থানীয়রা টেলিফোন মার্কার প্রার্থীকে মিছিল শেষ করার অনুরোধ করেন। এ ঘটনায় প্রথমে বাগবিতণ্ডা ও পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন কর্মী-সমর্থক আহত হন।

ডোমারে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ২০

পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে ডোমার থানা পুলিশ। এছাড়াও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সহকারী পুলিশ সুপার (ডোমার-সার্কেল) আলী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম।

এদিকে ঘটনাস্থল থেকে ফেসবুক লাইভে আসেন টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী সরকার ফারহানা আকতার সুমি। ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, ‘আমরা পাঙ্গায় এসেছিলাম, এখানকার প্রার্থী আগে থেকে পরিকল্পনা নিয়ে ছিল তারা আমাদের ওপর হামলা করবে। আমাদের দুইটা ছেলেকে খুবই আঘাত করেছে, কয়েকজনের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমার ওপরও হামলা করার চেষ্টা করেছে। গাড়ি ভাঙচুর করেছে, ১৫ থেকে ২০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। তারা যে পরিকল্পনা নিয়েছিল আমাকে পুরোপুরি মেরে ফেলার। আমি শুনেছি কারো না কারো ইন্ধনে তারা এটা করেছে। অনেকে বলছে, এমপি সাহেবের ইন্ধনে তারা এটা করেছে।’

ডোমারে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ২০

অপরদিকে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মালেক জাগো নিউজকে বলেন, পুলিশের কাছে অনুমতি নিয়ে পূর্বনিধারিত নির্বাচনী পথসভায় আমি বক্তব্য দিচ্ছিলাম। এসময় খবর আসে আমার নির্বাচনী অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে ও ভাঙচুর করা হচ্ছে। অফিসে থাকা আমার কয়েকজন কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে। তারপর আমরা সেখানে গিয়ে আমাদের আহত কর্মীদের হাসপাতালে পাঠিয়েছি। বাজারের সিসি ক্যামেরাগুলোর ফুটেজ চেক করলে সবকিছু পরিষ্কার হবে৷ আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিন আলী জাগো নিউজকে বলেন, এ বিষয়ে দু’পক্ষের কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইব্রাহিম সুজন/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।