লোডশেডিং
হাসপাতালে জেনারেটর অচল, গরমে কাহিল রোগী-স্বজনরা
সারাদেশের মতো নীলফামারীতে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ফলে হাঁস ফাঁস করছে জনজীবন। এরই মধ্যে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, রোগী ও তাদের স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে হাসপাতালে ঘুরে দেখা যায়, বিদ্যুৎ না থাকায় রোগীদের হাতপাখা দিয়ে বাতাস করছেন স্বজনরা। তীব্র গরমে হাসপাতালের বিছানায় ঘেমে যেন আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন রোগীরা। সবচেয়ে কহিল অবস্থা শিশু ও ডায়রিয়া রোগীর।
লোডশেডিংয়ের সময়ে আইপিএসের সাহায্য বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে আলোর শূন্যতা পূরণ হলেও জেনারেটর সংযোগ না থাকায় ঘুরছে না ফ্যানের পাখা।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর স্বজন রফিকুল জানায়, ভাতিজা ডায়রিয়ার রোগী। তাকে নিয়ে চারদিন ধরে হাসপাতালে আছি। তীব্র গরমের কারণে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে। শুনেছি হাসপাতালে জেনারেটর আছে। কিন্তু কখনো চালাতে দেখিনি।
হাসপাতালে চিকিৎসারত মজিবর রহমান বলেন, বার বার বিদ্যুৎ যাচ্ছে। এতে সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছি। গরমে খুব খারাপ লাগছে।
শিশু ওয়ার্ডের রেহেনা বেগম জানান, মেয়ে বাচ্চা নিয়ে দুইদিন ধরে হাসপাতালে আছি। গরমে অবস্থা খারাপ, ছোট মানুষ গরম সহ্য করতে পারছে না। এখানে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করতে হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আল মামুন বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে হাসপাতালে রোগী দেখা, সেলাই-ড্রেসিং ও ভর্তি থাকা রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হাসপাতালে টিকাসহ অন্যান্য মেডিসিনও নষ্টের উপক্রম হয়ে পড়েছে। আইপিএস দিয়ে আলো সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে জেনারেটর চালুর ব্যবস্থা করা হবে।
জানা যায়, ২০১৮ সালে বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থা হিসেবে ১০ কেভি কিলো ভোল্টের ইঞ্জিন চালিত একটি জেনারেটর হাসপাতালে বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে বরাদ্দের পরে সমক্ষমতা, সম্পূর্ণ সংযোগ ব্যবস্থাসহ নানা জটিলতায় কয়েক বছর চালু থাকার পর গত বছরে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে একদিকে নষ্ট হচ্ছে জেনারেটরের যন্ত্রাংশ, অপরদিকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে হাসপাতালে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা।
ইব্রাহিম সুজন/এএইচ/জিকেএস