ব্যবসায়ী-বিবাহিতদের নিয়ে কমিটি, সরে গেলেন ছাত্রলীগ নেতা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের ১৫ সদস্যদের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেন।
কমিটিতে সভাপতি পদে হৃদয় আহমেদ, সহ-সভাপতি পদে সাদ্দাম হোসেন, শেখ এমরানুল ইসলাম, সুহেল রানা, জাকারিয়া ভূইয়া, আব্দুল্লাহ ও শিপন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম রাব্বানী (রাব্বী), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে হাবিব শাহিন, এইচ এম সুমন, আশরাফ চৌধুরী চাঁদ ও শাখাওয়াত হোসেন হৃদয়, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আসাদ ভূইয়া, গোলাম আবু নিশাদ ও সজীব ভূইয়া।
বিকেলে কমিটি ঘোষণার আধা ঘণ্টার ভেতরেই নবগঠিত কমিটির সহ-সভাপতি শেখ এমরানুল ইসলাম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নবগঠিত কমিটি অব্যাহতি নেন। তিনি সদ্য বিলুপ্ত হওয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক ছিলেন।
তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন ‘চাল ব্যবসায়ী সভাপতি, মোবাইল বিক্রেতা সাধারণ সম্পাদক, স্ক্যান্ডালার ও বিবাহিত ভাইদের বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের নব কমিটিতে আসার জন্য অভিনন্দন! ছাত্রলীগের আদর্শ না রেখে ব্যবসায়ী ও বিবাহিতদের দিয়ে কমিটি দেওয়ার কারণে, বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগ থেকে আমি শেখ এমরানুল ইসলাম অব্যাহতি নিলাম।’
এ বিষয়ে শেখ এমরানুল ইসলাম জাগোনিউজকে বলেন, আমি আর ছাত্রলীগে ফিরে যাব না। যারা ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত নয়, তাদের কমিটিতে রাখা হয়েছে। নবগঠিত কমিটির সভাপতি চাল ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি পদে আছে, আর সাধারণ সম্পাদক রাব্বি মোবাইল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে আছে। এছাড়া রাব্বি সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা ছিল। পাশাপাশি যুগ্ম সম্পাদক পদে রাখা হাবিব শাহিন নারী কেলেঙ্কাকারীর ঘটনায় ভাইরাল হয়েছিল। তাই গত আহবায়ক কমিটি দেওয়ার সময় জেলা ছাত্রলীগ তাকে বাদ দেয়।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল জাগো নিউজেকে জানান, তার অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ সত্য নয়। সভাপতি হৃদয়ের বাবা মারা যাওয়ার পর সে ব্যবসায়ের দায়িত্ব নিয়েছেন। রাব্বি ইউপি পরিষদে উদ্যোক্তা পদে আর নেই। তবে তাদের দুজনেরই ছাত্রত্ব আছে।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এনআইবি/জেআইএম