ফরিদপুরে বাস-পিকআপের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৪
ফরিদপুরে সড়কে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ১৪ জনে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মো. ইকবাল হোসেন (৩৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের কুমরাইল গ্রামে।
এর আগে সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে শহরতলীর কানাইপুর ইউনিয়নের দিগনগর তেঁতুলতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে মাগুরাগামী ইউনিক পরিবহনের সঙ্গে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ১১ জন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই জন মারা যান। পরে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে আরো এক জনের মৃত্যু হয়েছে।
বাকি নিহতরা হলেন, আলফাডাঙ্গা উপজেলার হিদাডাঙ্গা গ্রামের সৈয়দ নেওয়াজ আলীর মেয়ে জাহিনুর বেগম (৬০), আলেক সরদারের স্ত্রী শুকুরুন নেছা (৭০), মৃত ইব্রাহিম খাঁর স্ত্রী সুর্য বেগম (৫০), কুসিমদি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে পিকআপচালক মো. নজরুল ইসলাম (৩৫), বেজিডাঙ্গা গ্রামের নান্নু মোল্লার স্ত্রী জাহানারা বেগম (৪৫), মিল্টন শেখের স্ত্রী সোনিয়া বেগম (২৮), মেয়ে নুরানি (২), চর বাকাইল গ্রামের মৃত রশিদ খানের ছেলে তবিবুর খান(৫৫)
বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের ছত্রকান্দা গ্রামের তারা মোল্লার ছেলে রাকিব হোসেন মোল্লা মিলন (৪২), তার স্ত্রী শামিমা ইসলাম সুমি (২৫), দুই ছেলে আলভি রুহান মোল্লা (৭), আবু ছিনান ওরফে হাবিব মোল্লা (৪) ও প্রতিবেশী মৃত আব্দুল ওহাবের স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৬৫)।
ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী, বোয়ালমারী,আলফাডাঙ্গা সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, নিহতদের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। দুর্ঘটনায় ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এন কে বি নয়ন/আরএইচ/এএসএম