ছাতকে দুই পঞ্চায়েত গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, আহত ২৫
সুনামগঞ্জের ছাতকে দুই পঞ্চায়েত গোষ্ঠীর সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ খুরমা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গোলাম মুস্তাফা মুন্না, ছাতক সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রণজয় চন্দ্র মল্লিক, ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ২৫ রমজান আসরের নামাজের পর মহব্বতপুর গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে আফজলের (২২) সঙ্গে একই গ্রামের কুসুম আলীর ছেলে আলী আহম্মদের (৩৫) বিরোধ হয়। বিষয়টি আমজাদ আলী খুরমা গ্রামের পঞ্চায়েতী মুরুব্বি আব্দুল খালিককে জানান। পরে মহব্বতপুর গ্রামের আবুল বশর ও আফরোজ আলীর পক্ষের লোকজন আমজদ আলী, ইয়াকুব আলী ও তোরাব আলীর পরিবারকে একঘরে করে রাখার ঘোষণা দেন।
শনিবার রাতে খুরমা গ্রামের পঞ্চায়েত আব্দুল খালিক সহযোগীদের নিয়ে মহব্বতপুর পঞ্চায়েতের কাছে তিন পরিবারকে একঘরে করে রাখার বিষয়টি জানতে চান। এতে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এ বিরোধের জেরে মহব্বতপুর গ্রামের আবুল বশর মুন্না ও আফরোজ আলী গ্রামের লোকজনদের মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে খুরমা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জড়ো করেন। পরে খুরমা ও মহব্বতপুর গ্রামের আনুমানিক ৩০০-৪০০ লোকজন দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘর্ষে লিপ্ত হন।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ১৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়ে। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
লিপসন আহমেদ/আরএইচ/জেআইএম