পদ্মায় ডুবে নিহত ৩
বাবার পর নিখোঁজ ছেলের মরদেহ উদ্ধার
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় পদ্মার শাখা নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজের একদিন পর স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টার দিকে দিঘীরপাড় ধানকোড়া এলাকা সংলগ্ন নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় স্কুলছাত্র রিয়াদ রামিন আরিদের (১৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এনিয়ে এ ঘটনায় ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
এর আগে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেল চারটার দিকে উপজেলার দিঘীরপাড় বাজার সংলগ্ন পদ্মার শাখা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে আরিদের বাবা রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রিয়াদ আহমেদ রাজু ও আত্মীয় ব্যাংকার জুয়েল রানার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানান, ঈদের ছুটিতে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে উপজেলার বেশনাল গ্রামে আত্মীয় ইকবাল মোল্লার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন তারা। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার দিঘীরপাড় ইউনিয়নের ধানকোড়া এলাকায় পদ্মার শাখা নদীতে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন মিলে ইঞ্জিন চালিত ট্রলার যোগে ঘুরতে যান। এ সময় ট্রলার থামিয়ে কয়েকজন গোসল করতে নামেন। সবাই তীরে ফিরতে পারলেও তিনজন নদীতে স্রোতের তোড়ে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হন।
খবর পেয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও নৌপুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে অভিযান চালায়।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ঢাকার ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর সঞ্জয় কুমার দাস জাগো নিউজকে জানান, রাতে দুইজন ও সকালে স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ নৌপুলিশের মাধ্যমে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। মূলত অসচেতনতার কারণেই এই দুর্ঘটনা। নৌ-ভ্রমণে সতর্কতা ও যারা সাঁতার না জানে তাদের নিরাপত্তা প্রয়োজন।
আরাফাত রায়হান সাকিব/এফএ/এএসএম