ঈদে ঘুরতে গিয়ে মারধরের শিকার প্রেমিক-প্রেমিকা
যশোরের মনিরামপুরে ঈদে বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরতে এসে বখাটে দুই যুবকের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন এক যুবক। এ সময় ওই নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১১এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার কুয়াদা জামজামি এলাকায় ফাঁকা মাঠে এই ঘটনা ঘটে।
জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে খবর পেয়ে মনিরামপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিম দুজনকে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ অভিযুক্ত দুই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি ছুরি উদ্ধার করেছে।
আটকরা হলেন, ভোজগাতী গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে মখলেসুর রহমান (৩৮) ও একই গ্রামের ইমান আলীর ছেলে পারভেজ হোসেন (২৬)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে অভয়নগরের এক যুবক তার বান্ধবীকে নিয়ে জামজামি মাঠে ঘুরতে আসেন। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক আছে বলে জানা গেছে। তারা দুইজন রাস্তার পাশে বসে কথা বলছিলেন। এ সময় দুই সহযোগীকে নিয়ে সেখানে যান মখলেছ ও পারভেজ। তারা ঘুরতে আসা ছেলেটাকে মারপিট করে মেয়েটাকে টেনে হিঁচড়ে রাস্তার পাশে বাগানে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন।
মাঠে থাকা লোকজন বলেন, এ সময় মেয়েটা চিৎকার দিলে আমরা ছুটে আসি। ঘুরতে আসা দুইজন মখলেছ ও পারভেজকে তাদের কাছে থাকা সব জিনিসপত্র দিয়ে রক্ষা পেতে চাইলে মখলেছ তাদের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন। একপর্যায়ে মখলেছ ছুরি বের করে ছেলেটাকে আঘাত করতে উদ্যত হন।
ঘটনা টের পেয়ে মাঠের লোকজন ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পরে পুলিশ এসে মখলেছ ও পারভেজকে আটক করে।
ভোজগাতী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আটক মখলেছ ও পারভেজ মেয়েটিকে শ্লীলতাহানি করেছে। মেয়েটির সঙ্গে থাকা ছেলেটিকেও মারপিট করেছে। মেয়েটা পুলিশকে সব ঘটনা খুলে বলেছে।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, মখলেজ ও পারভেজ এলাকায় মাদকসহ বহু অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। তারা পারে না এমন কোনো খারাপ কাজ নেই।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
মিলন রহমান/এফএ/জেআইএম