লালপুরে ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়ম, ১০ কেজির বদলে দেওয়া হলো ৮ কেজি
নাটোরের লালপুরে গরিব অসহায় মানুষের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ১০ কেজি করে চাল বিতরণের কথা থাকলেও চেয়ারম্যান ৮ কেজি করে চাল দিয়েছেন। চাল কম পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপকারভোগীরা।
এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
মঙ্গলবার সরেজমিন উপজেলার দুয়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ১২২৫ জন গরিব অসহায় মানুষকে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফের চাল দেওয়া হচ্ছে। ট্যাগ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে চাল বিতরণের কথা থাকলেও দেখা মেলেনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার। চাল ওজন করে দেওয়ার পরিবর্তে দেওয়া হচ্ছে প্লাস্টিকের লাল বালতিতে করে। চাল পাওয়া কয়েকজনের চাল আবার ওজন করে ৮ কেজি পাওয়া যায়।
এ নিয়ে আককাস আলী নামে এক ব্যক্তি বলেন, সকালে আমার ও আমার ভায়রার দুটি কার্ডের চাল ইউনিয়ন পরিষদে তুলতে আসি। পরে চাল তুলে বাইরে ওজন করে দেখি ১০ কেজি করে দেওয়ার কথা থাকলেও ৮ কেজি করে ১৬ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে। তারা চাল ওজন না করে বালতিতে করে দিচ্ছেন।
সুমন নামে আরেকজন বলেন, সরকার আমাদের জন্য ১০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে। আর তারা ৮ কেজি করে চাল দিচ্ছে। আমরা ২ কেজি করে চাল কেন কম নেবো?
অভিযোগের বিষয়ে জানতে দুয়ারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম লাভলুর মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রুহুল আমিন মোল্লা বলেন, গতকাল থেকেই অভিযোগ আসছিল। আজ সরেজমিনে চাল কম দেওয়ার সত্যতা মিলেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, প্রত্যেককে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার নিয়ম। কিন্তু কেন চাল কম দেওয়া হচ্ছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রেজাউল করিম রেজা/এমএইচআর