কুমারখালীতে ইসলামী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে চুরি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ইসলামী ব্যাংকের এক এজেন্ট শাখায় জানালার গ্রিল ও ভল্টের তালা ভেঙে নগদ পাঁচ লাখ ২৭ হাজার টাকা, সিসিটিভির ডিভিআরসহ বেশকিছু মালামাল চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতের কোনো এক সময় উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের আলাউদ্দিন নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে ব্যাংকে চুরির ঘটনাটি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, চুরির ঘটনাটি সন্দেহজনক ও রহস্যজনক। গভীর তদন্ত চলছে।
বুধবার (৩ এপ্রিল) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, একটি জানালার গ্রিল কাটা। তবে জানালার গ্লাসে কোনো ক্ষত নেই। ভল্টের তালা ভাঙা, সিসিটিভির ডিভিআর নেই। অগোছালো আলমারি। উৎসুক জনতা ভিড় করেছে।
এ সময় এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার ইনচার্জ মো. শামসুল আলম জানান, তিনি সকাল ৯টার দিকে ব্যাংকে এসে দেখেন জানালার গ্রিল কাটা। ভল্টের তালা ভাঙা। ভল্টে রাখা পাঁচ লাখ ২৭ হাজার ৬৮৬ টাকা নেই। সিসিটিভির ডিভিআর ও বেশকিছু মালামাল নেই। আলমারি অগোছালো।
তার ভাষ্য, রাতের আঁধারে ব্যাংকে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রায় চার বছর আগে সেখানে ব্যাংকটির যাত্রা শুরু হয়। ব্যাংকে সাধারণত এত টাকা রাখা হয় না। তবে প্রতি বুধবার আলাউদ্দিন নগর এলাকায় সাপ্তাহিক পশুহাট বসে। সকাল থেকেই বড় লেনদেন হয়। সেজন্য মঙ্গলবারের সব টাকা ভল্টে রাখা হয়। বাজারে নৈশপ্রহরী থাকায় ব্যাংকে কোনো গার্ড নেই।
আলাউদ্দিন নগর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম জানান, তিনজন নৈশপ্রহরী পাহারায় ছিল। তবে তারা ঘটনা টের পায়নি। ব্যাংকে কোনো নাইটগার্ডও নেই। চুরির ব্যর্থতা অবশ্যই ব্যাংক কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে।
জানতে চাইলে নন্দলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান খোকন জানান, আলাউদ্দিন নগরে এত বড় চুরি হওয়ার কথা নয়। সেখানে অন্যকোনো ঘটনা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম জানান, চুরির ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার গভীর তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
আল-মামুন সাগর/এফএ/এএসএম