২০ মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড সুনামগঞ্জের দুই উপজেলা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সুনামগঞ্জ
প্রকাশিত: ১২:৪০ পিএম, ০১ এপ্রিল ২০২৪

সুনামগঞ্জে আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে দুই উপজেলার অন্তত ৭ শতাধিক বাড়িঘর ও ২ শতাধিক দোকান লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। সেইসঙ্গে শতাধিক গাছ ভেঙে পড়েছে সড়কে। ২০ মিনিটের এই ঝড়ে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জানা যায়, রোববার (৩১ মার্চ) রাতে সুনামগঞ্জের ওপর দিয়ে হঠাৎ বয়ে যাওয়া ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় দুই উপজেলার ৭ শতাধিক ঘরবাড়ি, ২ শতাধিক দোকান ও শতাধিক গাছপালা। এতে বেকায়দায় পড়েন লক্ষাধিক মানুষ।

এর মধ্যে শান্তিগঞ্জ উপজেলার কামরূপাদলং, সদরপুর, চন্দ্রপুর, আস্তমা, তালুকগাঁও ও পশ্চিম পাগলা গ্রামেই অন্তত ৫শ বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। একইভাবে সদর উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর, লক্ষণশ্রী ইউনিয়নসহ ২ শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।

২০ মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড সুনামগঞ্জের দুই উপজেলা

মাত্র ২০ মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে চোখের নিমিষেই বাড়িঘর গাছপালা ভেঙে পড়ে। মানুষজন তখনও ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। তারা কোনোমতে পরিবার নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে প্রাণে বাঁচেন। কিন্তু কোনো আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বের করতে পারেননি। ঝড়ে ঘরবাড়িসহ সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন তারা।

সদরপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল করিম বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ঘর তছনছ হয়ে গেছে। এখন শুধু দেহটা নিয়ে কোনোরকম বেঁচে আছি।

রায়পুর গ্রামের বাসিন্দা মনির মিয়া বলেন, ঝড়ের তাণ্ডবে আমার সাজানো সংসার ভেঙে গেছে। কষ্ট করে তৈরি করা ঘরটি ঝড়ের কবলে পড়ে ভেঙে গেছে।

২০ মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড সুনামগঞ্জের দুই উপজেলা

চন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা গুলজান বেগম বলেন, সংসারে ৮ জন মানুষ। কষ্ট করে টাকা জমিয়ে ঘর নির্মাণ করেছিলাম, কিন্তু আজ সেই ঘরের চিহ্নও নেই।

শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে তাদের সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হবে। ঘর নির্মাণের জন্য তাদের ঢেউটিন দেওয়া হবে।

লিপসন আহমেদ/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।