১০৯ বছর পর সংস্কার কাজ শুরু ব্রিটিশ আমলের চুন-সুরকির ব্রিজে

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি ঈশ্বরদী (পাবনা)
প্রকাশিত: ১০:৪২ এএম, ০১ এপ্রিল ২০২৪

ব্রিটিশ আমলে ইটের মাঝে চুন-সুরকির গাঁথুনি দিয়ে নির্মিত ঈশ্বরদী-ঢাকা রেলপথের পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নে চলনবিলের মধ্যে ৬ স্প্যান বিশিষ্ট ৫ পিয়ারের ৩৪৮ ফুট লম্বা রেলওয়ে গার্ডার ব্রিজ নির্মিত করা হয়েছিল। ১০৯ বছর আগের এ ব্রিজটি নির্মাণের পর আর সংস্কার হয়নি। ব্রিজের গাঁথুনির চুন-সুরকির গুণাগুণ নষ্ট হয়ে গোটা ব্রিজে ফাটল ধরেছিল। ফলে ট্রেন অতিক্রমের সময় কেঁপে উঠতো ব্রিজটি।

প্রতিদিন এ ব্রিজের ওপর দিয়ে ২১ জোড়া আন্তঃনগর, এক জোড়া মেইল ট্রেন এবং ৪ জোড়া মালবাহী ট্রেন যাতায়াত করে। অবশেষে রোববার (৩১ মার্চ) এ ব্রিজের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের দিলপাশার রেলস্টেশনের সামনে পুরোনা বেডব্লকগুলো ভেঙে সিসিক্রিবের ওপর লোহার গার্ডার বসিয়ে (লোহার অ্যাঙ্গেলের ওপর কাঠের স্লিপারে রেললাইনে বসিয়ে দেওয়া) শতাধিক রেলশ্রমিক বিকল্প অস্থায়ী ব্যবস্থাপনায় রেললাইন তৈরি করে সংস্কার কাজ শুরু করেছেন। ব্রিজটি সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করবে।

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আরটিসিএল গার্ডার ব্রিজ সংস্কার কাজ করছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। আগামী বর্ষা মৌসুম আসার আগেই সংস্কার কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।

১০৯ বছর পর সংস্কার কাজ শুরু ব্রিটিশ আমলের চুন-সুরকির ব্রিজে

ট্রেন চালকরা বর্তমানে ১০ কিলোমিটার গতিতে গার্ডার ব্রিজ অতিক্রম করছেন। ব্রিজের দুই পাশে নিরাপত্তা জোরদার করতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছে।

সংস্কার কাজ উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) লিয়াকত শরীফ খান, পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আনোয়ার হোসেন, সেতু প্রকৌশলী আব্দুর রহিম, বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল মন্ডলসহ রেলওয়ে প্রকৌশলীরা।

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের প্রকৌশলী-২ বীরবল মন্ডল জানান, ব্রিটিশ আমলে ২৬নং গার্ডার বিজ নির্মাণ করা হয়েছিল। ব্রিজের পিয়ারের গাঁথুনির চুন-সুড়কির গুণাগুণ নষ্ট হয়ে গিয়ে বিভিন্ন স্থাপনায় ফাটল ধরেছিল।

শেখ মহসীন/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।