ঢাবিতে চান্স পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত সাইফুলের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের (‘গ’ ইউনিট) ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় ৭২তম স্থান অধিকার করেছেন নেত্রকোনার ছেলে সাইফুল ইসলাম। তবে টাকার অভাবে ভর্তি হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। প্রাথমিক অবস্থায় ভর্তির জন্য যে টাকা লাগবে সেটাই এখনো জোগাড় করতে পারেননি তিনি।
সাইফুল ইসলাম নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার নিজ হোগলা গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে মায়ের সঙ্গে নানাবাড়িতে থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
সাইফুল ইসলামের মা রিনা বেগম জানান, একমাত্র ছেলে ছাড়া তার আর কেউ নেই। স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার পর থেকে ছেলেকে নিয়ে বৃদ্ধ বাবার অভাব- অনটনের সংসারে বসবাস করছেন তিনি। অভাবের কারণে ছেলেকে তেমন প্রাইভেট, কোচিংয়ে পড়াশোনা করাতে পারেননি। কোনোমতে তাদের সংসার চলে। সাইফুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েছেন। এখন তার পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়ার বিষয়ে চিন্তিত তিনি।
ঢাবিতে চান্স পাওয়া সাইফুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বয়স যখন দুই বছর পাঁচ মাস তখন বাবা-মায়ের ডিভোর্স হয়ে যায়। তখন থেকে মায়ের সঙ্গে নানার বাড়িতে থাকেন। তার বাবার বাড়ি নিজ হোগলা। নানার বাড়ি পূর্ব ভিকুনীয়া। নানার আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় তাকে পড়াশোনা করানোর জন্য তার মাকে অন্যের বাড়িতে কাজ করতে হয়েছে।
সাইফুল ইসলাম বলেন, নানা-নানু, মামাদের পাশাপাশি আশপাশের অনেকে আমার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন। সহযোগিতা পেয়েছি শিক্ষকদের কাছ থেকেও। এখন আমি ঢাবিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু মায়ের পক্ষে পড়াশোনার টাকা জোগাড় করা অসম্ভব।
পূর্বধলা সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক আবু হানিফ তালুকদার রাসেল বলেন, সাইফুল ইসলাম অসম্ভব মেধাবী। আমরা যতটুকু পেরেছি তাকে সহযোগিতা করেছি। সমাজের বিত্তবান ব্যক্তি, বিভিন্ন সংস্থা পাশে দাঁড়ালে সাইফুলের স্বপ্ন পূরণ হতে পারে।
পূর্বধলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খবিরুল আহসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা সাইফুল ইসলামকে ডেকেছি। তিনি আগামীকাল আসবেন।আমরা তার ভর্তির সব ব্যবস্থা করবো।’
এইচ এম কামাল/এসআর/জেআইএম